২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী
২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। পাক-সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বুধবার সেনাবাহিনীকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা, ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস(আইএসপিআর) একথা জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্যে অন্যদিকে ভোটের ময়দানে আগমন ঘটেছে হাফিজ সইদের। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনকে। ভোটে যেকোনরকম নাশকতা এড়াতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটের দিন পোলিং বুথের ভিতরে এবং বাইরে পাহারা দেবে সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে বুধবার জানাল কমিশন। আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘কর্পস কমান্ডারদের’ এক সম্মেলনে সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামলানোর নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাজওয়া। নির্বাচন কমিশন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়ে এক চিঠি পাঠানোর পরই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় আইন- শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশজুড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করতে হবে। ভোটদানের সময় সেনা সদস্যদের বুথের ভেতর ও বাইরে উভয় জায়গায় মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য,সাধারণত পাকিস্তানে ভোটের সময় বুথের বাইরে সেনাবাহিনী পাহারায় থাকে। তাও সব বুথে নয়। শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়। এবছর ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত কমিশনের।
কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, সারা দেশে ৮৫ হাজারের বেশি বুথ তৈরি হবে।
এদিকে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি নির্বাচনের সময় দেশজুড়ে স্থাপন করা হবে ২০ হাজার নজরদারি ক্যামেরা।
খবর : বার্তা সংস্থা সিনহুয়া’র।