fbpx

ভন্ড কবিরাজের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল কুমিল্লা

ভন্ড কবিরাজের হাতে তিন বছরের শিশু শেখ ফরিদের মৃত্যু

সোহাগ মিয়াজী ঃ কুমিল্লার ভন্ড কবিরাজের হাতে তিন বছরের শিশু শেখ ফরিদের মৃত্যুর ঘটনা, ক্ষোভে ফেটে পড়ছে কুমিল্লাবাসী। ভন্ড কবিরাজ মাহবুবের ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠছে কুমিল্লা। অবিলম্বে ভণ্ড কবিরাজ মাহবুবকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

সচেতন নাগরিক ঐক্য পরিষদের আয়োজনের মানববন্ধনে শেখ ফরিদের মা উপস্থিত ছিলেন। তিনি কান্না কন্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে ভন্ড কবিরাজ পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই। রবিবার সকাল ১১ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ – বাখরাবাদ রোডের বারপাড়া এলাকার ভন্ড কবিরাজের আস্তানার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা। এ সময় স্থানীয় স্কুল-কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারপাড়া সমাজ কল্যান এর প্রতিষ্ঠাতা এম এ সামাদ, এম রুবেল হোসেনসহ স্থানীয় সচেতন মহল। মানববন্ধনে ভন্ড কবিরারজের বাড়িতে গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দাবি তুলা হয়।মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড অফিসে গিয়ে গ্যাস সংযোগের বিচ্ছিন্নের দাবিতে পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সোমবার জেলাপ্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে জানান আন্দোলনরত স্থানীয় জনতারা। ভন্ড কবিরাজের গ্রেফতারের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান, তাকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়েছে। এদিকে দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। হত্যাকাণ্ডের দশ দিন অতিবাহিত হলেও সেই ভন্ড কবিরাজ আইনের আওতায় আনতে পারছে না পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকরেছে কুমিল্লার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।

তার মা বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মাহবুব ও তার সহযোগী শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ভণ্ড কবিরাজ মাহবুবের প্রধান সহযোগী খাদেম শাহাদাতকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি (ঝুমুর সংলগ্ন) সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের প্রাবাসী জামাল হোসেনের সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট শিশু (একমাত্র ছেলে) শেখ ফরিদ দুষ্টুমি বেশি করার কারনে শুক্রবার সকালে সন্তানের দুষ্টামি কমাতে কবিরাজের কথা মত মা তার সন্তানকে ৩ দিনের জন্য কবিরাজের কাছে রেখে আসে । তবে শনিবার দুপুর ১টায় ময়নামতিতে শিশু শেখ ফরিদ ফিরে আসে মায়ের কাছে। তবে ছোটোছুটি করছে না আগের মত। সাদা কাফনে মোড়ানো এম্বুলেন্সে করে, চিরতরে শান্ত তার দেহ। কবিরাজ ফোন করে জানায় “জ্বীনে মেরে ফেলেছে সকালে, গোসল জানাজা হয়ে গেছে দাফন করে দিন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *