গলাকাটা মরদেহ
নিজ ঘরে মা-ছেলের গলাকাটা মরদেহ
মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে
সিলেটের মীরাবাজার খারপাড়া এলাকায় মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- হেলাল মিয়ার স্ত্রী মা রোকেয়া বেগম (৪৫) ও ছেলে রবিউল ইসলাম রোকন (১৬)। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শুক্রবার রাতেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল খরপাড়ার মিতালী ১৫/জে নম্বর বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। ওই বাসা থেকে রাইসা নামে ৫ বছরের এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই বাসায় গৃহকর্মী তানিয়াকে (১৬) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌওছুল হোসেন বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার রাতেই মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ জানান, তিনজনকেই মারতে চেয়েছিল ঘাতকরা। শিশুকন্যাকেও শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। মেয়েটাকে পরে জ্ঞান ফিরে পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকায়। নিহত রোকেয়ার ভগ্নিপতি ফারুক মিয়া বলেন, সবশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওইদিনই তাদের হত্যা করা হয়েছে। এজন্য মরদেহে কিছুটা পচন ধরেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই বাসার মালিক সালমান হোসেন জানান, তারা বছরখানেক আগে এই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেছিল। ওই নারী একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন এবং ছেলে মীরাবাজার একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা এ ঘটনার কিছুই টের পাননি। তবে সকালে মেয়ের ভগ্নিপতি ফারুক মিয়া এসে বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে পুলিশকে জানিয়েছে। এরপর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক রুমে ও অন্য রুমে ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়।