fbpx

দুঃখে পুড়লেন কোহলিরা

দুঃখে পুড়লেন কোহলিরা, ঝড় তুলেছিলেন লোকেশ রাহুল। মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করে আইপিএলে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা কেড়ে নেন সুনীল নারাইনের কাছ থেকে। গত দুই বছর ধরে হঠাৎ ব্যাটসম্যানে রূপ নেওয়া নারাইনের তা সহ্য হবে কেন? সে রাগটা ঝাড়লেন রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বোলারদের ওপর। নারাইনের ঝোড়ো ফিফটিতে বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে পরে ব্যাট করা দলই জিতল আইপিএলে।

১৭৭ তাড়া করতে নেমেছিলেন সুনীল নারাইন ও ক্রিস লিন। যুজবেন্দ্র চাহালের প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিলেন নারাইন। তবে গত আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে ভয়ংকর দুজনের জুটিটা অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেনি। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৫ রান করে ফিরেছেন লিন।

কিন্তু নারাইনের এতে কিছু যায় আসেনি। লিন ফেরার পরে তিন ওভারে তাই ঝড় চলল চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দরদের ওপর দিয়ে। ৫ ছক্কা ও ৪ চারে পঞ্চম ওভারেই ফিফটি পেয়ে গেলেন। গত মৌসুমে এই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেই ১৫ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন। আজ অবশ্য ফিফটি ছুঁতে ১৭ বল লেগেছে তাঁর।

আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম। এ রেকর্ডে অবশ্য তাঁর সঙ্গী আরও চারজন। নারাইন ঝড়টা থামল ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। মাত্রই বোলিংয়ে আসা উমেশ যাদবের নিচু ফুলটস বলকে স্টাম্পে টেনে আনলেন নারাইন। ১৯ বলে ঠিক পঞ্চাশেই থামলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার। দলের রান তখনই ৬৫।

নারাইনের একটু পরে রবিন উথাপ্পাকেও ফিরতে হলো। যাদবের পেস ও বাউন্স সামলাতে না পেরে ক্যাচ দিয়েছেন উথাপ্পা। তবু কলকাতাকে আটকাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। নারাইনের এনে দেওয়া ঝড় যে অনেক এগিয়ে দিয়েছে নাইট রাইডার্সদের। নিতিশ রানা (২৫ বলে ৩৪) ও অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক (২৯ বলে ৩৫*) ঠিকই ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করেছেন। এর আগে ২৭ বলে ৪৩ রান করে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুকে।

৫ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রান করে রানটা দুই শর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু বিরাট কোহলির স্বভাববিরুদ্ধ ৩৩ বলে ৩১ রান অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে তাঁর দলকে। শেষ দিকে মনদীপ সিংয়ের ১৮ বলে ৩৭ রানেই লড়াকু ১৭৬ রানের স্কোর পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু নারাইন-ঝড়ে সেটা মামুলি হয়ে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *