টেস্টে বাংলাদেশের যত ‘খারাপ’ রেকর্ড
যত ‘খারাপ’ রেকর্ড
৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল উইন্ডিজের বিপক্ষে কেবল এই একটাই বিব্রতকর রেকর্ড গড়েনি। অ্যান্টিগায় চলতি আইপে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজের প্রথম দিন শেষে ইতিহাস আর পরিসংখ্যানের খাতা জানাচ্ছে, এই ইনিংসে চড়ে একসঙ্গে অনেকগুলো ‘খারাপ’ রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ।
২০০০ সালে প্রথম টেস্ট থেকে শুরু করে গতকালের আগ পর্যন্ত কোনো টেস্টে লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়নি। সর্বনিম্ন যেটা হয়েছে, লাঞ্চের পর দ্বিতীয় বলে শেষ হয়েছে ইনিংস। এই ঘটনা ঘটেছিল ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেবারও সফরকারী দল ছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগেই ৯ উইকেট হারায় হাবিবুল বাশার সুমনরা। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় বল খেলতেই গুটিয়ে যায় ইনিংস।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ইনিংসটিই এতদিন পর্যন্ত টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ছিল। মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। সেই রেকর্ডকেও এবার ছাপিয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হয়তো মুখ লুকিয়ে এইটুকু স্বস্তি নিতে পারে এই ভেবে যে, ৪৩ রানের নিচেও টেস্টে ইনিংস আছে। তাও আবার ৯টি।
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট ইনিংসও। বুধবার মাত্র ১৮.৪ ওভারে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬২ রানের ‘কালো ইনিংসে’র ম্যাচেও ২৫.২ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছিলেন সাকিব-তামিমরা।
উইন্ডিজের দিক থেকে এটা গর্বের যে, বাংলাদেশকে এত কম রানে গুটিয়ে দিতে পেরেছে তারা। যেকোনো দলের বিপক্ষেই এটা তাদের জন্য কম রানের ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়ার ঘটনা। এর আগে ইংল্যান্ডকে ৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল এই উইন্ডিজ দল। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৪ সালে।
৪৩ রানের ইনিংসে ওপেনার লিটন কুমার দাস সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। একমাত্র তিনি ছাড়া বাকি সবাই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের রানে। শূন্য রানে আউট হয়েছেন চারজন। অঙ্কের খাতা বলছে, রানের শতকরা ৫৮ ভাগ এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে।
রেকর্ড গড়েছেন উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ। প্রথম ১০ ওভারেই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম ১০ ওভারে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
বাংলাদেশের করা ৪৩ রানের ইনিংসটি গেল ৪৪ বছরে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। ভারত ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৪২ রানে অলআউট হয়েছিল।