ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৮২
ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন দ্বীপ লমবকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ৮২ জন নিহত হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত।
অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯। পাশের বালি দ্বীপেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। ছুটি কাটানোর জন্য জনপ্রিয় এই দ্বীপে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হলো। এর আগে গত ২৯ জুলাইয়ের ভূমিকম্পে ওই দ্বীপে ১৭ জন নিহত হয়।
ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়। হাজার হাজার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরবো নাগরোহো বলেন, সুনামির সতর্কতা জারি করার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভূমিকম্পে লমবকের পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে প্রাণহানি বেশি। প্রধান পর্যটন এলাকাগুলো দ্বীপের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল উত্তর লমবকের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয় দফায় দুটি পরাঘাত হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে আরও ২৪টি পরাঘাত হয়। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানান, বেশির ভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লমবকের প্রধান শহর মাতারামে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে ঘরবাড়ি। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে হুড়মুড় করে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। শহরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম বর্তমানে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে লমবকে আছেন। ভূমিকম্পের পর ফেসবুকে লেখেন, তিনি হোটেলের দশম তলার একটি কক্ষে থাকছেন। ভূমিকম্পে পুরো ভবন প্রচণ্ড কেঁপে ওঠে। দেয়ালে ফাটল ধরে। দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, সুনামির সতর্কতা সরিয়ে নেওয়া হলেও দুটি গ্রামে সাগরের পানি ঢুকে পড়েছে।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রলয়ংকরী সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলের কয়েকটি দেশে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার লোক নিহত হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারায় ১ লাখ ৬৮ হাজার জন।