fbpx

লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ হলে কি করবেন ?

প্রেসার লো হওয়া বা রক্তচাপ কমে যাওয়াকে অনেকেই সাধারণ মনে করলেও এটা অতটা সাধারণ সমস্যা নয়।

লো ব্লাড প্রেসারও ঝুকিপূর্ণ, কিন্তু তা হাই ব্লাড প্রেসার অপেক্ষা নয়। তবে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অযথা বা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা এটা স্বল্পমেয়াদী সমস্যা। এছাড়া অনেকেই মনে করেন দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারীরাই নিম্ন রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এটা সত্য নয়। মোটা মানুষেরও নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার থাকতে পারে।

সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি.মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি.মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। আজ জেনে নিন প্রেসার লো হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ
১। কোনো কারণে পানি শুন্যতা হওয়া।২। ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া।
৩। খাবার ঠিকমতো বা সময়মত না খাওয়া।
৪। ম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতা।
৫। কোন দীর্ঘমেয়াদী রোগের আক্রান্ত থাকা।
৬। শরীরে হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা।
৭। রক্তশুন্যতা।
৮। কোন কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ

  • মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনূভূত হওয়া
  • মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা যাওয়া।
  • চোখে অন্ধকার দেখা বা ঝাপসা দেখা যাওয়া।
  • শারীরিক বা মানসিক অবসাদগ্রস্থতা দেখা দেওয়া।
  • কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা।
  • ঘনঘন শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
  • খুব বেশি তৃষ্ঞা অনূভূত হওয়া।
  • অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পন, নাড়ি বা পালসের গতি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনি লো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসা:

লো ব্লাড প্রেসারের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যদি শরীরে পানিশূণ্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই লো প্রেসার ঠিক হয়ে যায়। চিকিতসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তবে যাদের দীর্ঘমেয়াদী নিম্নরক্তচাপ আছে তারা অবশ্যই চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লো প্রেসারের জন্য বাড়িতেই কিছু প্রাথমিক চিকিতসা নেওয়া যেতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের রোগীরা অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকবেন না।

অনেকক্ষণ ধরে বসে বা শুয়ে থাকার পরে ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে ধীরে উঠুন।

ঘনঘন হালকা খাবার খান।

বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

এছাড়াও নিম্নের খাবার গুলো আপনার প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে।

কফি : আপনার হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। এতে আপনার লো ব্লাড প্রেসার থেকে প্রেসার কিছুটা হলেও বাড়তে সাহায্য করবে।

লবণ-স্যালাইন : লবণে আছে সোডিয়াম। তা রক্তচাপ বাড়ায়। এজন্য প্রেসার লো হলে ওরস্যালাইন খেলে দ্রুত প্রেসার বাড়তে সাহায্য করে ।

কিশমিশ : কিসমিস একটি সুস্বাদু এবং লো প্রেসার রোগীদের জন্য উপকারী হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন কয়েকটি করে কিসমিস খেতে পারেন।

পুদিনা : পুদিনা পাতার বহু উপকার আছে। এতে আছে ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান,যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এবং সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে।

মধুও দুধ : মধু আল্লাহর একটি অনন্য নেয়ামত।  দুধে মধু মিশিয়ে খেলে লো প্রেসার থেকে কিছুটাও উপকার পাবেন।

ডিমঃ ডিম খেতে পারেন। মুরগির চেয়ে হাঁসের ডিম এক্ষেত্রে বেশি সাহায্যকারী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *