৬ মাসে ধর্ষণের শিকার ৪২৭ নারী
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে ৪২৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর ৩৭ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৪ জন নারী। যার মধ্যে ১৪৪ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
৩০ জুন, শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আটটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ এবং আসকের নিজস্ব সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সংখ্যাগত প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ৬ মাসে ৮৫৬ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৮ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। ৫৮ শিশু আত্মহত্যা করেছে। নিখোঁজের পর আট শিশু এবং বিভিন্ন সময়ে ৫৩ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গর্ভপাতের সময় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ ছাড়া রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১৫ শিশুর।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে ধর্ষণের পর এবং ধর্ষণ চেষ্টার পর আত্মহত্যা করেছেন চার নারী। ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৫৭ নারীর ওপর। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৮ জন নারী। এর মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে তিনজন আত্মহত্যা করেছেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে চারজন পুরুষ নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৬৯ জন নারী-পুরুষ। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৩০ নারী। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩০ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১২ নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ৪৪ জনকে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন চারজন নারী। ছয় মাসে ২৫ গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১৪ জন নারী। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনজন নারী।