fbpx

সম্মতি নিতে হবে

যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীনির থেকে মৌখিকভাবে বা শরীরী ভাষায় সম্মতি নিতে হবে

মৌখিকভাবে বা শরীরী ভাষায় সম্মতি নিতে হবে

যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীনির কাছ থেকে মৌখিকভাবে বা শরীরী ভাষায় সম্মতি নিতে হবে। তা না হলে যৌন সংসর্গ ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।সুইডেনে ধর্ষণের বিষয়ে পাস হওয়া এক নতুন আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় এ কথা বলা হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে।

এতে স্পষ্ট করে বলা আছে, ভয় বা হুমকি না দেয়া হলেও সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ বলে গণ্য হবে৷

আগের আইনে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হতো যে অভিযুক্ত জোর করে যৌন সম্পর্ক করেছে বা ধর্ষিতা বাধা দেয়ার মতো অবস্থায় ছিল না কিংবা সে মাদকাসক্ত ছিল৷

কিন্তু আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে চলা নতুন আইনে জোর খাটানোর বিষয়টি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

পার্লামেন্টের বিল উপদেষ্টা পরিষদ নতুন আইনের খসড়াটি দেখে বলেছিল, চালু আইনই যথেষ্ট৷ তবে সরকার নতুন বিলটি পার্লামেন্টে পেশ করলে তা ২৫৭ ভোট পেয়ে পাস হয়। এর বিরুদ্ধে মাত্র ৩৮ জন আইনপ্রণেতা ভোট দেন।

সুইডেনে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে৷ তরুণীরা এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন৷

তাদের রক্ষাকবচ দিতে আইনে বলা হয়েছে, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেউ জবাব না দিলে বা তার ইঙ্গিতে ধোঁয়াশা থাকলে প্রস্তাবকারীকে অনুসন্ধান করে জানতে হবে অন্যজন আগ্রহী কিনা৷

এ সূত্রেই নতুন দুটি অপরাধের কথা বলা হয়েছে নতুন আইনে। তা হলো ধর্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা ও যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে অবহেলা৷ শাস্তি হিসেবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সর্বাধিক চার বছরের কারাবাসের কথা বলা হয়েছে৷

এ ছাড়া গুরুতর যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে আরও বেশি দায়িত্ব বর্তাবে অভিযুক্তের ওপর৷

বিরোধী মডারেট পার্টি এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে৷ দলের মুখপাত্র টমাস টোব বলেন, বিলের একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তারা বিলটি সমর্থন করেছেন৷ বিশেষত বিলে যারা নির্যাতনের শিকার, তাদের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে৷ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে তারা যৌন সম্পর্কে আদৌ সম্মতি দিয়েছে কিনা৷

তিনি মনে করেন নতুন আইন নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করবে৷

ইউরোপের নারী অধিকার নিয়ে গবেষণারত আনা ব্লুস নতুন এই আইনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুইডেনকে নিয়ে ইউরোপের দশটি দেশ বিনা সম্মতিতে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে স্বীকৃতি দিল৷ এ তালিকায় সুইডেন দশম দেশ৷

তিনি জানান, অনেক ইউরোপীয় দেশে এখনও ধর্ষণের সময় জোর খাটানো বা হুমকি দেওয়া না হলে তাকে ধর্ষণ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয় না৷ অর্থাৎ এই দেশগুলিতে আজও বাতিল ধারণাগুলো রয়ে গেছে৷

তার আশা, সুইডেনের পদক্ষেপের ফলে ইউরোপের অন্যান্য দেশও নয়া আইন করার উদ্যোগ নেবে৷ ধীরে ধীরে বদলাবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *