ভার্জিনিটি
‘ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট দিয়ে বিয়ে করেছিলেন নাকি?’
মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। বিভিন্ন সময়ে নিজস্ব চিন্তাধারার জন্য গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন তিনি। ইতোপূর্বে বহুবার নারী পুরুষের যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০ জুন, বুধবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রিয়তি এ নিয়ে কথা বলেন।
ওই স্ট্যাটাসে মিস আয়ারল্যান্ড বলেন, ‘আমার এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দুই থেকে তিনটি দেশের মহিলাদের থেকে হতে হয়।
মহিলা: আল্লাহ, বিয়ে ছাড়া বাচ্চা হয় কীভাবে?
আমি: হায় আল্লাহ , বিয়ে করার পর আপনারা বাচ্চা হত্যা (অ্যাবোরশন অথবা ডিঅ্যান্ডসি) করার লাইসেন্স পেলেন কোথা থেকে?
আমি জানি যে, বিয়ের পর মহিলারা সবচেয়ে বেশি ভ্রুণ হত্যা, অর্থাৎ ৯৭% বিবাহিত কাপল অ্যাবোরশন অথবা ডিঅ্যান্ডসি করে থাকেন। যদিও আমি শুধুমাত্র মহিলাদের একার দোষ দেবো না, স্বামীরও থাকে।
মহিলা: ওয়েল, আমার শরীর, আমার চয়েজ!
আমি: তাহলে, আমার ভার্জিনিটি, আমার চয়েজ।
বাই দ্য ওয়ে, বিয়ের সময় ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট দিয়ে বিয়ে করেছিলেন নাকি? কীভাবে প্রুফ করলেন আপনি মিস ভার্জিন ছিলেন?
তবে হ্যাঁ, এখনো সমাজে ভার্জিন ছেলে বা মেয়ে আছে। শুধুমাত্র কাউকে প্রশ্ন করার আগে ভাবুন, কথাগুলো কতখানি সামঞ্জস্য (সামঞ্জস্যপূর্ণ)।’
বাংলাদেশি মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি আয়ারল্যান্ডের একজন তারকা। ‘মিস আয়ারল্যান্ড ২০১৪’ খ্যাত প্রিয়তি ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতায়ও প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন।