বাবা নয়, শচীনপুত্রের আদর্শ যে ক্রিকেটার…
নামের পাশে টেন্ডুলকার উপাধি আছে। বাবা শচীন টেন্ডুলকারের মত পা পড়েছে ক্রিকেট জগতেও। যুব ক্রিকেটের কয়েকধাপে পরীক্ষায় খুব একটা খারাপ নম্বরও মেলেনি। তবে পিতার গড়া উঁচু চূড়াটা এখনও বহুদূরের গন্তব্যই।
অবশ্য কিংবদন্তি পিতার সাথে মিল কমই পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকারের। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, বলে আছে গতি! সেকারণে হয়ত অর্জুনের আদর্শটাও ভিন্ন! শচীন টেন্ডুলকার তনয় জানাচ্ছে, পিতা নয়, তার আদর্শ দুই ভিনদেশী ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক ও ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস!
বাবাকে আদর্শ না মানলেও টেন্ডুলকারের খ্যাতির কারণেই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে অর্জুনকে ঘিরে আগ্রহ তুমুল। মুম্বাইয়ের জুনিয়র দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া গ্লোবাল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে অর্জুনের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে অজি গণমাধ্যমেরও।
সিডনির স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হংকংয়ের একটি দলের বিপক্ষে ব্যাট-বলে প্রায় একাই ম্যাচ জিতিয়েছে অর্জুন। পেস বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৪৭ রান করে ম্যাচ সেরা শচীনপুত্র। এরপরই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ।
ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার এবিসিডট নেটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অর্জুন জানিয়েছে ব্র্যাডম্যানের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে খেলতে পেরে সে কতটা গর্বিত, ‘ব্র্যাডম্যানের নামে নাম করা মাঠে খেলতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত। এটা অবিশ্বাস্য।’
বাবা ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। খন্ডকালীন স্পিনার হিসেবে সাফল্যটাও খুব একটা খারাপ না। কিন্তু অর্জুন ঠিক তার উল্টো। গায়ের জোরে বল করতে ভালবাসে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রোক খেলার প্রবণতা বেশি। আর যে কারণে স্টার্ক- স্টোকসের প্রতি তার ঝোঁকটাও বেশি বলে এবিসিকে জানিয়েছে অর্জুন।
‘আমি শক্তিশালী, লম্বা এবং ছোটবেলা থেকেই গায়ের জোরে বল করতে পছন্দ করি। আমি সবসময় পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, কারণ ভারতে গায়ের জোরে বল করার মত খুব বেশি বোলার নেই।’
তবে বাবাকে আদর্শ মনে না করলেও তার পরামর্শ সবসময় মেনে চলে অর্জুন, ‘উনি আমাকে সবসময় বলেন ভয়ডরহীন ভাবে খেলতে। দলের জন্য খেলতে, দল হয়ে খেলতে, আর যে দলের হয়ে খেলবো তার জন্য সর্বস্বটাই দিতে।’