গ্যাসের সংকট
‘রাতে সবাই যখন ঘুমাতে যাব, তখন চুলায় গ্যাস আসে। তখন কি আর রান্নার অবস্থা থাকে? এক দিন রান্না করে দু-তিন দিন খাই। গোসল করি দুদিন পরপর। কারণ, এই ঠান্ডায় পানি গরম করার কোনো উপায় থাকে না।’
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস–সংকট চলছে শীতের মৌসুমে।
স্বল্প আয়ের অনেকে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করে রান্নার কাজ করছেন। তবে নিম্নবিত্তের মানুষদের সংকট বেড়ে গেছে আরও বেশি।
রাজধানীর নয়াপল্টন, ফকিরাপুল এলাকা, রামপুরার উলন রোড, মগবাজার, মধুবাগ, মালিবাগ, রামপুরার বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, বাড্ডা, শাহজাদপুর, মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, আদাবর, মিরপুরের শেওড়াপাড়া, পল্লবী, মিরপুর ১২ নম্বর, পুরান ঢাকার লালবাগ, যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা ছাড়াও কেরানীগঞ্জের মান্দাইলের অধিবাসীরা চুলায় গ্যাস পাচ্ছেন না। ভাটারার নূরেরচালা এলাকায় সকাল ৯টার দিকে চুলার গ্যাস চলে যায়। সারা দিন টিমটিম করে গ্যাস জ্বলে। পুরোপুরি গ্যাস আসে সন্ধ্যার পর।
মেরুল বাড্ডার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গ্যাসের সংকট না থাকলেও গ্যাসের চাপ কম।
তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) এইচ এম আলী আশরাফ বলেন, গ্যাসের উৎপাদন ঠিকই আছে। শীতকালে গৃহস্থালিতে গ্যাসের ব্যবহার প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ ধরে পানি গরম করেন। এ ছাড়া শহরের দ্রুত বর্ধনশীল এলাকাগুলোতে গ্যাসের সংকট হয়। যেখানে আগে ৫০টি বাড়ি ছিল, এখন সেখানে ৫০০ বাড়ি হয়ে গেছে। এসব এলাকায় গরমেও সংকট থাকতে পারে।