ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পঙ্গকাল পিনং যাচ্ছিল । বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স ৮ মডেলের নতুন প্রজন্মের এই বিমানটি জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সবশেষ বিমানটি সাগর অতিক্রম করছিল বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ম্যাপে দেখা যায়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।সংবাদ সম্মেলনে এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, বিমানটিতে ১৮৮ জন মানুষ ছিলো। এর মধ্যে ১৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, একজন কিশোর, দুটি শিশু এবং বিমানের দুই জন পাইলট আর পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির প্রধান ইউটিপো পুরো নিউগ্রো এক টুইটে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে যাত্রীদের ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্র দেখা যাচ্ছে ।এছাড়াও তিনি বিমান উড্ডয়নের মুহূর্তের একটি ভিডিও চিত্রও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর সাগর অতিক্রম করার সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ সংবাদমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন,বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হচ্ছি । ফ্লাইট অনুসরণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানায়, লায়ন এয়ারলাইন্স ২০১৬ সাল থেকে বোয়িং ৭২৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের যাত্রীবাহী বিমানটি ব্যবহার করছে। তবে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি নতুন, গত আগস্ট থেকে তারা এটি যাত্রী পরিবহনের কাজে লাগিয়েছে।
উল্লেখ্য, লায়ন এয়ালাইন্সের বিমান আরও দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয়। ২০১৩ সালে ১০৮ জন যাত্রী নিয়ে দেশটির বালি দ্বীপের নাগুরাহ রায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। এরপর ২০১৪ সালে দেশটির সোলো শহরে অপর এক দর্ঘটনায় ২৫ জন মারা যান।