বছরের শুরুতেই ফর্মের তুঙ্গে মেসি।ঝড় তুললেন,৫ গোলে বিধ্বস্ত হল সেল্টা।
কোপা দেল’রের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বছরের প্রথম ম্যাচে বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছিল সেল্টা ভিগো। ১-১ গোলে বার্সার সমর্থকদের হতাশা করে দলটি। তবে ফিরতি লেগে তাদের ছাড় দেয়নি কাতালান ক্লাবটি। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের গোলে ৫-০ গোলে সেল্টাকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে বার্সা।ন্যু ক্যাম্পে বার্সার বড় ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি। এছাড়া একটি করে গোল পেয়েছেন জর্দি আলবা, লুইস সুয়ারেজ ও রাকিতিচ।কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে কোপা দেল’র
সেল্টা ভিগো ভোগাতে পারে। টানা দুই ম্যাচে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দেওয়ার প্রেরণা নিয়ে আবারও ন্যু ক্যাম্পে এসেছে বার্সারই সাবেক সহকারীর দলটি। ম্যাচটা বার্সেলোনার জন্য কঠিন পরীক্ষার হবে। পুরো মৌসুমে এখনো মূল প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচও না হারা বার্সার জন্য আজই কি সেই রাত? বার্সা ছিটকে পড়বে না তো কোপা দেল রের শেষ ষোলোতেই…।
ম্যাচ শুরুর আগে চলা এসব অনুসিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিতে লিওনেল মেসি সময় নিলেন ২ মিনিট। ম্যাচের ১৩ ও ১৫ মিনিটে সেল্টার জালে তাঁর দুই গোল। কিন্তু কাল রাতটা এই জোড়া গোলে নয়; এই ম্যাচের মেসিকে মনে রাখতে হবে তাঁর হাওয়ায় ভাসানো অদ্ভুত সুন্দর বলটির জন্য। ২৮ মিনিটে সেই পাস থেকে জর্ডি আলবা ৩-০ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা গিয়েছিল, সেল্টা আর ন্যু ক্যাম্প থেকে ফুটবল-শিক্ষা নিয়েই ফিরবে। মেসির দুটি গোলই প্রায় একই রকম। আলবার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায়। এই মৌসুমে মেসির সাতটি গোলে জড়িয়ে থাকল আলবার নাম। আলবাও যে দুটি গোল করেছেন, দুটি মেসির বানিয়ে দেওয়া।
শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে জিতে আগের সপ্তাহে প্রথম লেগের ১-১ ড্রটার কথা ভুলিয়ে দিল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে জিতে চলে গেল কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে। এই প্রথম বার্সার ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখলেন নতুন সৈনিক ফিলিপে কুতিনহো। আর সেই ম্যাচেই বার্সা এই মৌসুমে তাদের সেরা খেলাটা খেলল। সেরাটা বেরিয়ে এল মেসি-ম্যাজিকে?
না! মেসি বলতে গেলে এবার একাই ভার বয়ে চলছিলেন নেইমার-শূন্যতায় ভুগতে থাকা দলের। কালও তাঁর জাদু ছিল, কিন্তু এবার পুরো বার্সা জাদুকরি হয়ে উঠল। লুইস সুয়ারেজ সেই তীক্ষ্ণ ফলার মতো হয়ে উঠলেন। ৩১ মিনিটে করা গোলটিই তাঁর একমাত্র হয়ে রইল। দুটি গোল অফসাইডের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে একবার সুয়ারেজ ছিলেন ভুল সিদ্ধান্তের শিকার।
টানা দুই ম্যাচে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দেওয়ার প্রেরণা নিয়ে আবারও ন্যু ক্যাম্পে এসেছে বার্সারই সাবেক সহকারীর দলটি। ম্যাচটা বার্সেলোনার জন্য কঠিন পরীক্ষার হবে। পুরো মৌসুমে এখনো মূল প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচও না হারা বার্সার জন্য আজই কি সেই রাত? বার্সা ছিটকে পড়বে না তো কোপা দেল রের শেষ ষোলোতেই…।
ম্যাচ শুরুর আগে চলা এসব অনুসিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিতে লিওনেল মেসি সময় নিলেন ২ মিনিট। ম্যাচের ১৩ ও ১৫ মিনিটে সেল্টার জালে তাঁর দুই গোল। কিন্তু কাল রাতটা এই জোড়া গোলে নয়; এই ম্যাচের মেসিকে মনে রাখতে হবে তাঁর হাওয়ায় ভাসানো অদ্ভুত সুন্দর বলটির জন্য। ২৮ মিনিটে সেই পাস থেকে জর্ডি আলবা ৩-০ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা গিয়েছিল, সেল্টা আর ন্যু ক্যাম্প থেকে ফুটবল-শিক্ষা নিয়েই ফিরবে। মেসির দুটি গোলই প্রায় একই রকম। আলবার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায়। এই মৌসুমে মেসির সাতটি গোলে জড়িয়ে থাকল আলবার নাম। আলবাও যে দুটি গোল করেছেন, দুটি মেসির বানিয়ে দেওয়া।
শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে জিতে আগের সপ্তাহে প্রথম লেগের ১-১ ড্রটার কথা ভুলিয়ে দিল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে জিতে চলে গেল কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে। এই প্রথম বার্সার ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখলেন নতুন সৈনিক ফিলিপে কুতিনহো। আর সেই ম্যাচেই বার্সা এই মৌসুমে তাদের সেরা খেলাটা খেলল। সেরাটা বেরিয়ে এল মেসি-ম্যাজিকে?
না! মেসি বলতে গেলে এবার একাই ভার বয়ে চলছিলেন নেইমার-শূন্যতায় ভুগতে থাকা দলের। কালও তাঁর জাদু ছিল, কিন্তু এবার পুরো বার্সা জাদুকরি হয়ে উঠল। লুইস সুয়ারেজ সেই তীক্ষ্ণ ফলার মতো হয়ে উঠলেন। ৩১ মিনিটে করা গোলটিই তাঁর একমাত্র হয়ে রইল। দুটি গোল অফসাইডের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে একবার সুয়ারেজ ছিলেন ভুল সিদ্ধান্তের শিকার।
বার্সার জাদুকরি হয়ে ওঠার পেছনে আছে ইভান রাকিতিচের গত কয়েক ম্যাচ ধরে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাতেও। কুতিনহোর বার্সায় চলে আসায় সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে এই মিডফিল্ডার। তা বুঝতে পেরেই কয়েক ম্যাচ ধরে অবিশ্বাস্য খেলে চলেছেন। কাল ৮৭ মিনিটের গোলটি এরই পুরস্কার।
প্রথমার্ধে মেসি, আলবা, সুয়ারেজে ৪-০ করে ফেলার পর দ্বিতীয়ার্ধে এই একটাই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা আসলে যেন অনুশীলন মাঠে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার ভঙ্গিতে খেলল। মেসি-ইনিয়েস্তাদের তুলে নিলে জরুরি বিশ্রামটা দিলেন আর্নেস্তো ভ্যালভার্দে। বদলি হিসেবে নামা ওউমানে ডেম্বেলে আগুন গোলার মতো কয়েকটি ছুট লাগিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কেন বার্সা এত টাকা ঢেলেছে তাঁর পেছনে।
গত ম্যাচে সেল্টার বিপক্ষে বার্সাকে হারতে দেননি হোসে আরনাইজ। কোপা ডেল রেতে এরই মধ্যে তিনি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বার্সার দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিন শট নিয়ে তিনটাতেই গোল করার রেকর্ড গড়ে। কাল নিজের কিছু ঝলকও দেখালেন এই ২০ বছর বয়সী তরুণ।
মেসি তাঁর জাদু দেখিয়েই চলেছেন, সুয়ারেজ ফিরে আসছেন নিজের সেরা ছন্দে, নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ডেম্বেলে, রাকিতিচ বুঝিয়ে দিচ্ছেন বেঞ্চ তিনি গরম করবেন না, ইনিয়েস্তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন এখনো তাঁর অনেক দেওয়ার বাকি, আরনাইজ জানাচ্ছেন তাঁকেই বা কেন একাদশে বিবেচনা করা হবে না…আর ভিআইপি গ্যালারিতে বসে এসব দেখছেন কুতিনহো! মেসির পর গোল সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা পাউলিনহোর জায়গায় হচ্ছে না দলে!
মৌসুম উদ্বোধক সুপার কাপের দুই লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার স্মৃতি এই বার্সা ভুলিয়ে দিয়েছে সেই কবে। এখন এটাই প্রশ্ন, এই বার্সাকে রুখবে সাধ্য কার!