পর পর দুইটি সন্তান নেওয়ার জন্য কতদিন অপেক্ষা করা উচিত?
একবার সন্তান নেওয়ার পর আরেকবার গর্ভবতী হবার আগে অন্তত ১৮ মাস অপেক্ষা করা উচিত, জানা গেছে এক গবেষণায়। এ সময়টুকু নিলে মা ও শিশু উভয়েরই উপকার হয়।
জেএএমএ ইন্টার্নাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। গবেষণার লেখক লরা শুমার্স জানান, এর থেকে কম সময়ে সন্তান নিলে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষ করে ৩৫ বছর বয়সের বেশি বয়সী নারীদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কারণ ৩৫ এর পরে যারা মা হন তাদের মাঝে একটি সন্তান হবার পর পরই আরেকটি সন্তান নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
মূলত, ১৮ মাসের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়াটা সকল বয়সী নারীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করলেও শিশুর ক্ষতি করে। অন্যদিকে ৩৫ বছরের বেশি নারীরা ১৮ মাসের আগে গর্ভধারণ করলে শিশুর পাশাপাশি মায়েরও ক্ষতি হয়।
গবেষণার জন্য প্রায় দেড় লাখ কানাডিয়ান হেলথ রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হয়। এ থেকেই দেখা যায়, ১৮ মাসের আগেই আবার বাচ্চা নেওয়াটা গর্ভকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।
৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীরা একটি সন্তান জন্মের ছয় মাসের মাঝেই আবার গর্ভধারণ করলে ১.২ শতাংশ ঝুঁকি থাকে মা ও শিশু মৃত্যুর। এছাড়া সময়ের আগেই সন্তান জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি থাকে ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ১৮ মাস অপেক্ষা করলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসে ০.৫ শতাংশে। সময়ের আগে সন্তান জন্মের ঝুঁকি কমে আসে অর্ধেকে।
২০-৩৪ বছর বয়সি নারীদের মাঝেও একই ধরণের ফলাফল দেখা যায়। একটি সন্তান জন্মের ছয় মাসের মাঝেই আবার গর্ভধারণ করলে সময়ের আগেই সন্তান প্রসবের ঝুঁকি থাকে ৮.৫ শতাংশ। ১৮ মাস অপেক্ষা করলে তা প্রায় ৫ শতাংশ কমে আসে।
গবেষকরা দাবি করেন, এতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের নারীর মাঝে ঝুঁকি কম-বেশি হয়। মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি কমাতে সঠিক পরিবার পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেন তারা। একবার প্রসবের পর আরেকটি সন্তান ধারণের জন্য মায়ের শরীর সেরে ওঠার সময় দেওয়া জরুরী।