রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে মধ্য নভেম্বরে
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মধ্য নভেম্বরে শুরু হবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। তবে প্রথম দফায় ঠিক কতজনকে ফেরত পাঠানো হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয় নি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চুক্তি হয় গত বছরের নভেম্বরেই। কথা ছিলো, চুক্তির ২ মাসের মধ্যে শুরু হবে এ প্রক্রিয়া।এরপর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠক হয় নাইপিদোতে। এর মাঝে গত আগস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ চোখ দেখে আসেন রাখাইন রাজ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তাই তৃতীয় বৈঠকটি নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলো বাংলাদেশ। ফলও এসেছে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রথম ধাপের প্রত্যাবাসন হতে যাচ্ছে এই নভেম্বরের মাঝামাঝি। আমরা এই বিষয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখেছি। এছড়া আমরা দু’পক্ষ বুধবার যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবো সেখানে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহ দেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবি, এ প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে।মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মিলে পুলিশের কাজ করা, সরকারি কর্মকর্তারা যাতে সেখানকার মানুষদের বৈষম্য না করে এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি ফেরত যাওয়াদের নিরাপত্তায় আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
এখন পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও কতজনকে প্রথম দফায় ফেরত নেয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন নি কোন পক্ষই।