সন্তানের চুল ডাই করাতে চান?
চুল ডাই করাটা এখন আর তেমন নতুন কিছু নয়। এমনকি অনেক বাচ্চারাও আবদার করে চুলে দুয়েক স্ট্রিক ঝলমলে রঙ করানোর জন্য। বাচ্চারা রঙ পছন্দ করে, তারা এমন আবদার করতেই পারে। কিন্তু বাচ্চার চুলে রঙ করানোটা কি তার জন্য নিরাপদ? বাচ্চার বয়স কতো হলে তার চুলে ডাই করানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের বয়স অন্তত ১৬ না হলে চুলে ডাই না করানোই ভালো। কারণ শিশুদের চুল বড়দের তুলনায় অনেক মিহি হয়। হেয়ার ডাই ও ব্লিচ যেহেতু চুলের জন্য ক্ষতিকর, শিশুদের চুলের ক্ষতি তা আর বেশি করতে পারে। এ সময়ে তাদের চুল ও ত্বক দুটোই বেশি সংবেদনশীল থাকে।
হেয়ার ডাই ও ব্লিচে বিভিন্ন রাসায়নিক থাকে, যা চুল ও ত্বক নষ্ট করা পাশাপাশি শিশুকে অসুস্থ করেও দিতে পারে। অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারক্সাইড ও প্যারাফিনাইলেনেডাইঅ্যামিন নামের একটি উপাদান খুবই খারাপ ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে শরীরে। ত্বক, চুল ও শ্বাসযন্ত্রে এসব রাসায়নিক অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। বিশেষ করে শিশুটির যদি অ্যাজমার মতো সমস্যা থাকে, তাহলে তার থেকে হেয়ার ডাই ও ব্লিচ দূরে রাখাই শ্রেয়।
১৬ বছর বয়সের আগেই শিশু যদি হেয়ার কালার করানোর বায়না করে, তখন কী করবেন? আপনি নিজে তার চুলে রঙ করতে চাইলে এমন ডাই ব্যবহার করুন যা পারমানেন্ট নয়। টেম্পোরারি হেয়ার ডাই বা জেল চুলের উপরিভাগে তেলের মতো অবস্থান করে, তার জন্য চুলের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। এর জন্য মেহেদি ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চার চুলের গোড়ায় ডাই দেবেন না, চুলের আগায় দিন। আর অবশ্যই আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে ভুলবেন না।
শিশুর চুলে কালার করানোর জন্য তাকে পার্লারে নিয়ে গেলে সাধারন হাইলাইটের বদলে ‘বেলায়াজ’ হাইলাইট করাতে পারেন, এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। অবশ্যই ভালো মানের পার্লারে শিশুর চুল কালার করানো উচিত। ব্লিচ থেকে দূরে থাকাই ভালো। কালার চক ব্যবহার করে তার চুলে গোলাপি, নীল, সবুজ রঙ করে দিতে পারেন।
তবে শিশুর চুলে কালার করানোর যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন এতে তার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে কিনা।