fbpx

২০১৯ আইপিএল দক্ষিণ আফ্রিকায়

২০০৯ সালের আইপিএল ভারতে হয়নি।

দ্বিতীয় আসরটি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবারও একই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণটাও অভিন্ন। ২০১৯ সালে আইপিএলের সময় ভারতে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে ভারতে আইপিএল আয়োজন করতে চায়নি এর গভর্নিং কাউন্সিল। ১০ বছর পর আবারও একই সমস্যার মুখোমুখি টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তম এই লিগ।

এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এরই মধ্যে তাদের তরফ থেকে ‘হ্যাঁ’ বলে রেখেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যদি আইপিএল দেশের বাইরে আয়োজন করতে চায়, তবে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার কথা ভাবতে পারে বলে জানিয়েছে সিএসএ (ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা)। ২০০৯ সালে আইপিএল সফলভাবেই তারা আয়োজন করেছিল। তা ছাড়া ঐতিহাসিকভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা অনেক বেশি। এর সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমী দক্ষিণ আফ্রিকানরা তো আছেই। দেশের বাইরে আয়োজন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল জমজমাটই হওয়ার কথা।

বিসিসিআই অবশ্য পুরো আসর নয়, শুধু নির্বাচনের সময়টায় দেশের বাইরে আইপিএল আয়োজন করতে চায়। বাকি অংশটা হবে ভারতেই। আইপিএলের স্টেডিয়ামের টিকিট বিক্রি থেকে আসা অর্থের লাভজনক দিক হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করছে। বিসিসিআই অপেক্ষা করছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার। এপ্রিল কিংবা মে মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন যদি ২০১৯ সালের মে মাসের দিকে হয়, তাহলে পুরো আইপিএলই দেশের বাইরে সরে যেতে পারে। কারণ, নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোলেও ভারতে আইপিএল আয়োজন করতে ইচ্ছুক নয় গভর্নিং কাউন্সিল।

আংশিক হোক কিংবা পুরোটা, সিএসএ আইপিএলকে আতিথ্য দিতে তৈরি। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী থাবাং মোরো বলেছেন, ‘আইপিএল যদি দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের এখনকার সোজা উত্তর হচ্ছে, আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা আইপিএল আয়োজন করতেই চাইব। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে যা বলা হচ্ছে, সবই অনুমাননির্ভর কথাবার্তা। ভারত সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা বুঝি, ভারতীয় বোর্ডের ভাবনায় আছে আইপিএলটি দুবাই, নয়তো দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজন করা যায় কি না, এ ব্যাপারে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল আয়োজন করা হলে সেটি আগে থেকেই বোর্ডকে জানাতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মোরো। দেশটির নিজস্ব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের তখন কী হবে, এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। ২০১৯ সালের আইপিএল ২৯ মার্চ শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত চলার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *