পা হারালেন বৃদ্ধা নারী
২ লঞ্চের চাপে পা হারালেন বৃদ্ধা নারী
ঢাকার উদ্দেশ্যে বরগুনা ছেড়েছেন চারটি লঞ্চ,২ লঞ্চের চাপে পা হারালেন বৃদ্ধা নারী
মোঃ আসাদুজ্জামান বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা থেকে চার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছেন ।প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উযাপন শেষে কমক্ষেত্রে ফেরা মানুষে উপচে পড়া ভিড় ছিলো লঞ্চ ঘাটে ।যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযাগ রয়েছে। এছাড়া ভিড়ের মধ্যে দিয়ে লঞ্চে উঠতে গিয়ে এবি যুবরাজ ও কিংসম্রাট লঞ্চের চাপে বরগুনা সদরের লাকুর তলা গ্রামের মো. রফিকুর ইসলামের স্ত্রী মোসা. সালমা ইসলাম টপির পা ভেঙে গেছে ।
তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতারে পাঠানো হয়েছে । জেলা প্রশাসক মো মোখলেছুল রহমান হাসপাতারে তাকে দেখতে যান । ঈদের আগে ভিআইপি কেবিন পাঁচ হাজার টাকা ছিলো বতমানে ৭ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে । ডাবল কেবিন ভাড়া ছিলো ২ হাজার দুই শত টাকা ।বতমানে সেটা ২ হাজার আট শত টাকা ।
আর সিঙ্গেল কেবিন আগে ছিলো এক হাজার এক শত টাকা এখন ১ হাজার পাঁচ শত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের ।আর ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ শত ভাড়া টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঈদ আগে ডেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া আদায় করা হতো । বরগুনার নদী বন্দর লঞ্চঘাটে গতকাল দুপুর ১২ টা থেকেই কমস্থল মুখী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে ।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ ঘাট জনস্রোতে পরিণত হয় ।বরগুনা ঘাট থেকে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে বরগুনা ছেড়ে গেছে ।লঞ্চ তিনটি হলো যুবরাজ -৪ ,পুবালী-১ ও কিংসম্রাট ।নিধারিত সময়ের দেড় দেুই ঘন্টা আগে লঞ্চ গুরো ঘাট থেকে ছেড়ে যায় । এই লঞ্চ তিনটির তিলধরনো জায়গা নাই ।এছাড়া এফবি সাতিল আরব নামের লঞ্চটি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা পথে ছেড়ে গেছে ।প্রতিটি লঞ্চকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট নিধারণ করে দেয়া হয় ।
কিন্ত লঞ্চ কতৃপক্ষ তাদের নিয়ম না মেনে বিভিন্ন ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন বলে লঞ্চের যাত্রীরা অভিযোগ করেন। পুবালী -১ লঞ্চের ভিআইপি কেবিন যাত্রী মো. সিপন বলেন ঈদের আগে এই কেবিনেই ৫ হাজার টাকায় যাওয়া আসা করতাম , কিন্ত ঈদ উপলক্ষে ২ হাজার টাকা কেবিন ভাড়া বৃ্দ্িধ করেছেন ।আগের চেয়ে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছেন তারা ।
হবন্দর কমকতা মামুনুর রশীদ বলেন লঞ্চ গুলোতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সতক আছি ।এবং যে লঞ্চটি দুঘটনা ঘটিয়েছে তার কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করার জন্য আটক করেছি ।
জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন লঞ্চ গুলোতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী না তুলতে পারে তার জন্য আমরা তাৎক্ষনিক লঞ্চগুলোকে ঘাট থেকে ছেড়ে দিয়েছি । এছাড়া প্রতিটি লঞ্চকে দুটি করে ঘাটে ভেড়ানোর জন্য নিদেশ দিয়েছে।