ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিমের সাথে ওপেনিং করবেন ????????
ওপেনিংয়ে তার সম্ভাব্য সঙ্গী হতে পারেন যে ক’জন, তার দুজন সৌম্য সরকার আর লিটন দাস দলেই নেই। ঘরের মাঠে তিন জাতি ক্রিকেটে তামিম ইকবালের সাথে দ্বিতীয় ওপেনারের সম্ভাব্য বিকল্প এখন তিনজন-ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয় আর মোহাম্মদ মিঠুন।
১৫ জানুয়ারি শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম খেলায় তামিমের সাথে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করবেন কে? এখন পর্যন্ত তা ঠিক হয়নি।ইমরুলের অতীতে খেলার রেকর্ড ভালো। আর তামিমের সাথে বোঝাপড়াও চমৎকার। দুজনার জুটিতে বড় পার্টনারশিপ আছে কিছু। তাই তামিমের সঙ্গী হিসেবে বাকিদের চেয়ে সব সময়ই একটু এগিয়ে থাকেন ইমরুল কায়েস।
এখানেও তাই ছিলেন।তবে হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে এই বাঁহাতি ওপেনারের প্রথম ম্যাচ খেলা অনিশ্চিত। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর জাতীয় দলের অঘোষিত প্রধান কোচ (টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) খালেদ মাহমুদ সুজনের কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, তামিমের সাথে ইমরুলই ওপেন করবেন। আবার ইমরুল খেলবেন না, তাও বলেননি তিন জনের কেউ।ডা. দেবাশীষ জানিয়েছেন, ইমরুলের প্রথম ম্যাচ খেলা নিয়ে এখনই তেমন কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এখনো সময় আছে। দেখা যাক। তিনি এটাও জানিয়েছেন, ইমরুলের বুড়ো আঙ্গুলের ব্যথা আর ফোলা দুই’ই কমেছে। গতকাল বুধবার তিনি নেটে ব্যাটিংও করেছেন। তাতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
তবে ম্যাচে তো আর শুধু ব্যাটিংটাই শেষ কথা নয়। তাকে ফিল্ডিংও করতে হবে ৫০ ওভার। সেদিকটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। হাতে এখনো কটা দিন আছে। কাজেই সামনের দিনগুলো দেখা যাক।প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথা, ইমরুলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবো। প্রায় একই সুর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদেরও। তিনজনের একজনও ‘হ্যাঁ’ বলেননি। আবার না করেও দেননি।ওই তিন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ত অবস্থানগত কারণে এখনই ইমরুলের প্রথম ম্যাচ খেলা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ভিতরের খবর, ইমরুলের প্রথম ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। প্রায় শুন্যের কোঠায়।ইমরুল শেষ পর্যন্ত না খেললে তার বিকল্প কে হবেন?
তা নিয়েও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর আর খালেদ মাহমুদ সুজনের কেউ সরাসরি কিছু বলেননি। তবে আকার-ইঙ্গিতে যা বলেছেন, তা শুনে মনে হচ্ছে; ইমরুলের না খেলা মানেই এনামুল হক বিজয়ের কপাল খুলে যাওয়া।টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের খুব কাছের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এ মুহুর্তে এনামুল হক বিজয়কেই তামিম ইকবালের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে ভাবা হচ্ছে। নেটেও বিজয়ই দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। তার নেটের পারফরমেন্স পাখির চোখে পরখ করা হচ্ছে।প্রধান নির্বাচক আজ সকালে জাগো নিউজের সাথে আলাপে এক পর্যায়ে বলেছেন, বিজয় নেটে ভালো ব্যাটিং করছে।
কালও ভাল খেলেছে।প্রসঙ্গতঃ প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের দলে তামিমের সাথে ওপেন করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ২০ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।এদিকে আরেক টপ অর্ডার মোহাম্মদ মিঠুনকে তিন নম্বরে খেলানোর কথা শোনা যাচ্ছে। তবে যতদূর জানা গেছে, তিনে সাকিব আল হাসানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। সাকিব নিজেই নাকি ওয়ান ডাউন খেলতে আগ্রহী। তাই ধরেই নেয়া যায় প্রথম ম্যাচে জায়গা হচ্ছেনা মিঠুনের।আর তাতেই আপনা আপনি আবার সুযোগ চলে আসছে এনামুল হক বিজয়ের। সামনের দিনক’দিনে দৃশ্যপট বদলে না গেলে কিংবা নাটকীয় কিছু না ঘটলে জিম্বাবুয়ের সাথে আগামী সোমবার শেরে বাংলায় লালসবুজ জার্সি গায়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে দেখা যাবে বিজয়কেই।
প্রসঙ্গতঃ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর আর কোনো ওয়ানডে খেলা হয়নি বিজয়ের। শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২২ মাস আগে, ২০১৫ সালের ৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচেও ব্যাটিং করা হয়নি। আগে ফিল্ডিংয়ের সময় ব্যথা পাওয়ায় আর ব্যাটিংয়ে নামা হয়নি। এবার আবার ব্যাট হাতে ইনিংস সূচনার হাতছানি খুলনার এ ২৫ বছর বয়সী ডান হাতি ওপেনারের।