গণধর্ষণ
ষাঁড়ের লড়াই উৎসবে গণধর্ষণ
১৮ বছর বয়সী এক যুবতীকে একদল নরপিশাচ গণধর্ষণ করে
স্পেনের পামপ্লোনাতে ২০১৬ সালে ষাঁড়ের লড়াই উৎসব চলাকালে ১৮ বছর বয়সী এক যুবতীকে একদল নরপিশাচ গণধর্ষণ করে। কিন্তু ওই ধর্ষকদেরকে বিরুদ্ধে আনা হয়েচে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। সাজা দেওয়া হয়েছে ৯ বছরের। আর আদালতের এমন রায়ের প্রতিবাদে হাজার হাজার স্পেনীয় নারী-পুরুষ শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় আদালত ওই ধর্ষকদের অপরাধকে লঘু করে তাদেরকে অভিযুক্ত করে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া নারী-পুরুষদের হাতে ছিল নানা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, প্লাকার্ড।
বৃহস্পতিবার ওই মামলায় স্পেনের নাভারে অঞ্চলের আদালত ৫ ধর্ষককে যৌন অপরাধে অভিযুক্ত করে ৯ বছরের জেল দেয়। কিন্তু স্পেনের আইনের অধীনে এ শাস্তি অনেক লঘু। এ জন্যই প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্প্যানিয়রা। এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই পুরো স্পেনের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে মানুষ। যেন বিক্ষোভে ফুটছিল দেশটি। বিশেষ করে মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ভ্যালেন্সিয়া, পামপ্লোনা ও আলিক্যান্তের বিক্ষোভ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছু বিক্ষোভকারীর হাতে পোস্টার ও প্লাকার্ড দেখা যায়। তাতে লেখা- এটা কোন যৌন নির্যাতন নয়। এটা হলো ধর্ষণ।
স্পেনের এল মুন্ডো পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ওই মামলায় প্রতিজন অপরাধীর বিরুদ্ধে ২২ বছর করে সাজা দাবি করেছিলেন প্রসিকিউটররা। কিন্তু আদালত ২০ বছরের জেল মঞ্জুর করে। এ মামলাটি ‘লা মানাডা’ নামে পরিচিত। রায় ঘোষণার পর আসামীপক্ষ ও বিবাদীপক্ষ উভয়েই আপিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তারা হলো হোসে অ্যানজেল প্রেন্ডা, অ্যান্তোনিও মানুয়েল গুয়েরেরো, অ্যানজেল বোজা, আলফোনজো জেসাস ক্যবেজুয়েলো ও জেসাস ইসকুডেরো। তারা ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তারা তখনকার ১৮ বছর বয়সী যুবতীকে ফোন কল করে। তা রেকর্ড করে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা নিজেদের গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। তাতে বলা হয়, আমরা পাঁচজন একজন যুবতীর শরীর ভোগ করতে যাচ্ছি। তোমাদের সঙ্গে যা শেয়ার করছি এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটবে।
আদালতে অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা সবাই ওই যুবতীকে একটি নিঃসঙ্গ ফাঁকা ঘরে নিয়ে সেখানে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। আটকে ফেলা হয় ওই যুবতীকে। তিনি এ সময় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ওই হলঘরে ফেলে রেখে তার ফোন কেড়ে নিয়ে যায় নরপিশাচরা।