৪-১ গোলের বড় জয় পেয়ে সেমিফাইনালের পথে ওনেকটা এগিয়ে বার্সেলোনা
বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বেশ নির্ভারই দেখাচ্ছিল আজকের ম্যাচে।
শিষ্যদের ওপর আস্থা ছিল; ছিল বিশ্বাস। গুরুর সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছেন মেসি-সুয়ারেজ-পিকেরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগে ইতালিয়ান ক্লাব রোমাকে হেসেখেলেই হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়ে সেমিফাইনালের পথে ওনেকটা এগিয়ে থাকল বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধের পুরোটা সময় বার্সার আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত ছিলেন রোমার খেলোয়াড়েরা। মেসিকেও তাঁরা ভালো সামলেছেন। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ‘গোল…’ বলে চিৎকার করে ওঠে বার্সা–সমর্থকেরা। সুয়ারেজের ওই গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে গেলে সেই উল্লাসে ভাটা পড়ে। ৯ মিনিটে বার্সার ডি-বক্সে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেন রোমার খেলোয়াড়েরা। তাঁদের আবেদনে অবশ্য কান দেননি রেফারি। ১১তম মিনিটে পাল্টা–আক্রমণে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে মেসির দুর্দান্ত শট আটকে দেন রোমার গোলরক্ষক আলিসন।
১৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুয়ারেজের শট রোমার রক্ষণের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে মাঠের বাইরে গেলে কর্নার পায় বার্সা। ইভান রাকিটিচের কর্নার কিক কাজে লাগাতে পারেননি বার্সার কেউ। তবে ক্লিয়ারের সময় আবারও বল পায়ে চলে আসলে রাকিটিচের দুর্দান্ত এক শটে রোমার গোলপোস্ট কেঁপে ওঠে। ৩৮তম মিনিটে মেসিকে দেওয়া ইনিয়েস্তার পাস আটকাতে স্লাইডিং ট্যাকল দেন ড্যানিয়েল ডি রসি। ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। বল গিয়ে জড়ায় নিজেদের জালেই (১-০)। প্রথমার্ধ স্কোরবোর্ড ১-০-তে রেখেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ তৈরি করে খেলে বার্সা। ৫৩তম মিনিটে মেসির দুর্বল শট আটকে দেন রোমার গোলরক্ষক।
পরের মিনিটেই কর্নার পায় বার্সেলোনা। রাকিটিচ আর মেসির গোছানো পাস থেকে বল পান উমতিতি। তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে রোমার খেলোয়াড় মানোলসের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে (২-০)। প্রথম দুই গোলই আত্মঘাতী! তৃতীয় গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সার। ৫৯ মিনিটে সুয়ারেজের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকানোর চেষ্টায় সফল হন আলিসন।
কিন্তু পিকের পায়ে বল চলে গেলে শেষরক্ষা হয়নি। বার্সার হয়ে ম্যাচের তিন নম্বর গোলটি করেন জেরার্ড পিকে (৩-০)। ৬৯ মিনিটে পাল্টা–আক্রমণে উঠে আসে বার্সা। এবারও মেসির সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান রোমার গোলরক্ষক আলিসন। ৭৮তম মিনিটে ভালো সুযোগ তৈরি করে রোমা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। পাল্টা–আক্রমণে রোমার রক্ষণে ভয় ধরিয়ে দেন সুয়ারেজ। তিনিও গোল করতে ব্যর্থ হন। আবারও পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে রোমা।
অবশেষে ৮০তম মিনিটে গোল পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। বার্সার দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নেন রোমার জেকো (১-৪)। এরপর একের পর এক আক্রমণে রোমার রক্ষণ–দেয়াল ভাঙার চেষ্টা করেন মেসি-সুয়ারেজ। ৮৭তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্য থেকে দুর্দান্ত এক আড়াআড়ি শটে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম গোল পান লুইস সুয়ারেজ (৪-১)। শেষ মুহূর্তে ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি রোমা।