গৃহবধূকে হত্যা
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভূয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম শারমিন আক্তার (২২)। তিনি ভূয়াকান্দি গ্রামের কৃষক মো. নাসিরের স্ত্রী এবং ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার মানিক প্রামাণিকের মেয়ে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে শারমিন বড়। তাঁর বাবা মানিক প্রামাণিক দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। মা জানু বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। শহরের কমলাপুর মহল্লার হামিদ মিয়ার সড়কে রফিউদ্দিন মিয়ার বাড়ির পাশে একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করে শারমিনের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে শারমিনের সঙ্গে নাসিরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক মাস আগে শারমিন বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর তিনি আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান।
শারমিনের চাচা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিয়ন আবদুস সামাদ সর্দার শারমিনকে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন মৃত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসে পালিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান তাঁকে মৃত হিসেবে শনাক্ত করেন।’
শারমিন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করছেন। এ বিষয়ে নাসিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি প্রতিবারই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শারমিন আত্মহত্যা করেছেন দাবি করে নাসিরের বড় ভাই মো. মাসুদ বলেন, ‘তাঁকে (শারমিন) বোনের মতো দেখতাম। বাড়িতে তাঁর সঙ্গে কারও রাগারাগি হয়নি। তবে কেন সে এই কাজ (আত্মহত্যা) করল তা জানা নেই।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন বলেন, পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় শারমিনের মা জানু বেগম থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।