মুমিনুলের দুই ইনিংসে অসাধারন সেঞ্চুরিতে প্রথম টেস্ট ’ড্র’
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন রিপোর্ট ও এনালাইসিস।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৫১৩ ও ২য় ইনিংস ৩০৭/৫ ( মুমিনুল ১০৫, লিটন ৯৪, তামিম ৪১, হেরাথ ২/৮০, ধনঞ্জয়া ১/৪১, সানদাকান ১/৬৪ , পেরেরা ১/৭৪)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৭১৩/৯ ডিক্লে. (ডি সিলভা ১৭৩, মেন্ডিস ১৯৬, রোশেন ১০৯, মুস্তাফিজ ১/১১৩, মেহেদি ৩/১৭৩, তাইজুল ২/২১২)
ফলাফল- ম্যাচ ড্র
চট্টগ্রামের এই উইকেটের আচরণই এমন। একটা জুটি বদলে দিতে পারে গতিপথ। প্রথম ইনিংসে মুশফিক-মুমিনুলের ২৩৬ রানের জুটি বাংলাদেশে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ডি সিলভা-পেরেরার ৩০৮ রানের জুটি গড়লো শ্রীলঙ্কার বড় লিডের ভিত। তৃতীয় ইনিংসে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল একটি জুটি, যাতে উড়ে যাবে হারের শঙ্কা। শেষদিনের সকালে সেটাই গড়লেন মুমিনুল-লিটন। সে জুটিই নির্ধারণ করে দিল, ড্র-ই হচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্ট। হলোও তাই। দিনের খেলার ১৭ ওভার বাকি থাকতেই দুই দল মেনে নিল, যথেষ্ট হয়েছে!
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়া মুমিনুলের সঙ্গে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলা লিটনের জুটি ১৮০ রানের। প্রথম সেশনটা দুইজন মিলে হতাশ করেছেন শ্রীলঙ্কানদের, সুযোগ দেননি সেভাবে কোনও। ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়ে মোট ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন মুমিনুল, তার ৬টি সেঞ্চুরি ইনিংসে যা সবচেয়ে কম। লিটন মেরেছেন ১১টি চার, ছোট ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি একবারই। দুইজনের ইনিংসের দুইরকম চিত্রই আসলে বলে দেয়, পরিস্থিতির দাবি মেটানোর মতোই ছিল সেগুলো।
দ্বিতীয় সেশনেই ড্র উঁকি দিচ্ছিল, তবে একটু কাজ বাকি ছিল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের। ঝুঁকি না নিয়ে সেটা করেছেন দুইজন। মাহমুদউল্লাহ ৬৫ বলে করেছেন ২৮, আর মোসাদ্দেকের ৫৩ বলে ৮ রানের ইনিংস নিশ্চিত করেছে, টেইল-এন্ডারদের ওপর চাপিয়ে দিতে হচ্ছে না কিছুই।
সব মিলিয়ে নিশ্চিত হয়েছে ড্র, যার ভিতটা আজ সকালে গড়ে দিয়েছে মুমিনুল-লিটনের জুটি।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক।