‘২০৩’ সংখ্যাটি পাকিস্তানের জন্য সৌভাগ্যের-ই
‘২০৩’ সংখ্যাটি পাকিস্তানের জন্য সৌভাগ্যের-ই। কিভাবে?
ব্যাপারটি খুলে বলা যাক তবে, ২০০৮ সালে করাচির মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ২০৩ রান ছিল পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সেবার পাকিস্তানের কাছে ১০২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য কোনো দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় (রানের দিক দিয়ে) ছিল এটাই। একই মাঠে রোববার রাতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ১৪৩ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই এখন সবচেয়ে বড় ব্যবধানে কোনো দলকে হারানোর রেকর্ড পাকিস্তানের। মজার বিষয় হচ্ছে রোববারের ম্যাচেও পাঁচ উইকেটেই ২০৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়মিত অধিনায়ক কার্লোস খেলেননি। দলে নেই ক্রিস গেইল, কায়রন পোলার্ডের মতো তারকারাও। এতেই কিনা টস হেরেও প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ২০৩ রানের জবাবে ১৩ দশমিক ৪ ওভার ব্যাটিং করে ৬০ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে কম সংগ্রহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারে। স্যামুয়েলস ১৯ বলে ১৮, পল ১৩ বলে ১০ এবং এমরিটের ২০ বলে ১১ রানের স্কোরই তাদের ব্যাটিং দৈন্যদশা প্রকাশ করছে। বীরাস্বামী পারমল ইনজুরিতে থাকায় ১০ জন নিয়েই ব্যাটিং শেষ করতে হয়েছে উইন্ডিজকে।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং শোয়েব মালিক দুটি করে উইকেট পান। আর সর্বোচ্চ রান করেন এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া হুসেইন তালাত (৩৭ বলে ৪১ রান)। ২৪ বলে ৩৯ রান করেন ফখর জামান। ১৪ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৬ রান বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে পাকিস্তানকে।
সর্বোচ্চ রান আর এক উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হন তালাত।
৯ বছর পর করাচিতে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। দিনটি ভালোই উদ্যাপন করল পাকিস্তানী ক্রিকেট ভক্তরা।
স্কোর: পাকিস্তান: ২০৩/৫ (২০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬০/ ৯ (১৩.৪)