শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারল না
শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও ম্যাচ হলো। আর গতবার বাংলাদেশ যে ভূমিকায় ছিল, এবার ভারতও সেই পথে।
শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারল না। নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারত হেসেখেলে জিতল ৬ উইকেটে। ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ভারতকে ১৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কলম্বোতে এই রান কোনো ব্যাপার যে নয়, আগের ম্যাচগুলোই বলছিল। ভারত জিতল ৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত এগিয়ে রইল ফাইনালে যাওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দুই দলেরই পয়েন্ট ২। বাংলাদেশের গত ম্যাচের ধাক্কাটা শ্রীলঙ্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও শ্রীলঙ্কার শুরু আর শেষের মিল নেই। ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটতে থাকা স্বাগতিকেরা ২ উইকেটে ৯৬ রান তুলে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ ৫০ বলে তারা তুলতে পারল মোটে ৫৬। কারণ, এই সময়ে ভারত দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। তুলে নেয় শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় শ্রীলঙ্কা রানের চাকাটা বনবন ঘোরাতে পারেনি। ৯ উইকেটে ১৫২ তুলে থেমেছে।
কুশল মেন্ডিস টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন। ৫৫ করে আউট হয়েছেন চাহালের বলে। যদিও বল হাতে ভারত যে দ্বিতীয় অংশে ধাক্কাটা দিল, এর কৃতিত্ব শার্দুল ঠাকুরের। ২৭ রানে এই পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট।
অনভিজ্ঞ এই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুজনকে শুরুতে ফেরাতেও পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ১১ করে ফিরেছেন রোহিত শর্মা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিখর ধাওয়ান ৮ রানের বেশি করতে পারেনি। সুরেশ রায়না শুরুর চাপটা দ্রুত সরিয়ে দিতে দিতে নিজেও ফিরেছেন ১৫ বলে ২৭ করে।
জুনিয়র মনীশ পান্ডে তাই মঞ্চটা নিজেদের দিকে টেনে নিলেন। ৩১ বলে ৪২ রানের হিসেবি এক ইনিংস খেললেন। সঙ্গ দিলেন অবশ্য বুড়ো দিনেশ কার্তিক, ২৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে। দুজনের ৬৮ রানের জুটি অনায়াসে জেতাল ভারতকে।