শেষ ষোলোয় ওঠার পর মাটিতেই পা রাখছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে
বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিল ফেবারিট—এ এক অলিখিত নিয়ম।
কিন্তু এবার ব্রাজিলের প্রথম দুই ম্যাচের পর কথাটা কেউ শুনেছেন? বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর। সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ তিতের মুখ ফুটেও কথা বেরোয়নি। পাছে, যদি হাঁটতে শুরু করতেই পা পিছলে যায় এই ভয়ে? কথাটা এখন ব্রাজিল সমর্থকেরা বলতেই পারেন। কারণ, নকআউট পর্বে ওঠার পর ব্রাজিলকে দেখছেন ফেবারিট হিসেবে দেখছেন তিতে।
তাও কথাটা সরাসরি বলেননি। ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঘিরে এমনিতেই প্রত্যাশার পারদ সব সময় ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তিতে তা জানেন। আর জানেন বলেই প্রথম দুই ম্যাচে তাঁর শিষ্যরা সমর্থকদের প্রত্যাশার প্রতিদান সেভাবে মেটাতে না পারায় ‘ফেবারিট তত্ত্ব’ নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে নেইমার-কুতিনহোরা সৌরভ ছড়ানোর পর ব্রাজিল কোচ মুখ খুললেন, ‘আমরা প্রত্যাশাকে স্বাভাবিকভাবেই নিই। তবে এই দলটা সবার প্রত্যাশাকে অনেক উঁচুতে স্থাপন করেছে। কারণ, বাছাইপর্ব ও প্রীতি ম্যাচে তারা খুব ভালো করেছে।’
তিতের সেই ‘উঁচু’ জায়গাটা যে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরার মঞ্চ তা না বললেও চলে। তবে শেষ ষোলোয় ওঠার পর মাটিতেই পা রাখছেন ব্রাজিলের এই কোচ, ‘আমরা প্রত্যাশা নয় বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিই। এই টুর্নামেন্টে দলটা মানসিকভাবে ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠছে। চাপ নিয়ে কীভাবে ভালো খেলতে হয়, সেটি তারা জানে। তবে বিকল্প পথও থাকতে হবে। যেমন ধরুন, মার্সেলো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ল। এ জন্য আপনার শক্তিশালী স্কোয়াড থাকতে হবে।’
শেষ ষোলোয় মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে এই মেক্সিকোর কাছেই হেরেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। জার্মানরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় না নিলে শেষ ষোলোয় হয়তো তাদেরই মুখোমুখি হতে হতো তিতের শিষ্যদের। জার্মানরা সেই সুযোগ না দেওয়ায় তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিল। যদিও এই বিশ্বকাপে এখন আর সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। তারপরও জার্মানির বদলে প্রতিপক্ষ হিসেবে মেক্সিকো পেয়ে ব্রাজিলের অনেক সমর্থক এখনই কোয়ার্টার ফাইনাল দেখছেন। নেইমারদের ফেবারিট হিসেবে ইঙ্গিত দিয়ে তিতে কি সমর্থকদের সঙ্গে সুর মেলালেন?