শুটিং যৌথ প্রযোজনার ছবি তুই শুধু আমার
যৌথ প্রযোজনার ছবি তুই শুধু আমার ছবির শুটিং ছিল। পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি। ছবিতে আমার আর সোহমের বিয়ের একটি দৃশ্যের শুটিং করলাম। এটি ছবির শেষ ধাপের কাজ। তিন দিনের শিডিউল ছিল। দুই দিনেই হয়ে গেল। চলে এলাম। কারণ, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন ছবির শুটিং শুরু।
অনেক শুটিং করছেন মনে হচ্ছে? ব্যস্ততা অনেক বেশি নাকি?
হ্যাঁ, অনেকটা তা-ই। আজ শনিবার থেকে আনন্দ অশ্রু ছবির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হচ্ছে। এরপরই মনে রেখো ছবির অল্প কিছু কাজ বাকি আছে, তা শেষ করব। এ ছাড়া সামনে প্রেমের বাঁধন, পবিত্র ভালোবাসা, আমার মা আমার বেহেশত ছবির শুটিংয়ের শিডিউল দেওয়া আছে। মোটামুটি এপ্রিল পর্যন্ত টানা শুটিং।
শুটিংয়ের বাইরে সময় কীভাবে কাটে?
আমার এখন দুই জীবন। অভিনয়জীবন ও শ্বশুরবাড়ির জীবন। শুটিংয়ের সময় তো মা সঙ্গেই থাকেন। তাই মাকে আর আলাদা করে সময় দেওয়ার দরকার হয় না। শুটিং না থাকলে সোজা শ্বশুরবাড়ি চলে যাই। পুরো সময়টা সেখানেই দেওয়ার চেষ্টা করি।
শেষ তিন প্রশ্ন…
অনেকেই বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে দর্শক আপনার অভিনয় পছন্দ করেননি। এই ছবিতে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
কোনো নম্বরই দিতে চাই না। আমি নিজেই স্বীকার করছি, এই ছবির কাজে দর্শকের কাছে মাইনাসে আছি আমি। কিন্তু এ জন্য কি আমি একা দায়ী? আমি কিন্তু তা মনে করি না। কারণ, এর আগে পোড়ামন, অনেক সাধের ময়না, অগ্নি, দবির সাহেবের সংসার, কৃষ্ণপক্ষসহ অনেক ছবিতে দর্শক আমার অভিনয় গ্রহণ করেছেন।
পরিচালকদের কেউ কেউ বলেন, শুটিংয়ে পোশাকের ক্ষেত্রে পরিচালক বা পোশাক নকশাকারীর মতামতকে আপনি প্রাধান্য দেন না। সত্যি?
এ ধরনের কাজ আমি কখনোই করি না। চরিত্রের প্রয়োজনে যে পোশাক লাগে, সে পোশাকেই কাজ করি আমি। তবে ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পোশাকটি চরিত্রের জন্য মানানসই হবে, এমন মত আমি দিয়েছিলাম। এতটুকুই।
অভিযোগ আছে, সহকারী হিসেবে আপনি বাড়তি মানুষ আউটডোর শুটিংয়ে নিয়ে যান। ঠিক কি না?
শুটিংয়ে আমার প্রয়োজনের বাইরে কাউকে সঙ্গে নিই না। আমার মেকআপ, ড্রেসের সহকারী ও আমার মা সঙ্গে থাকেন, এই তো!