শিশুর রোগ প্রতিরোধে করণীয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে ছোটরা সহজেই বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে ৩-১২ বছরের শিশুদের অসুস্থ হবার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। জ্বর, কাশি, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি অসুখ লেগেই থাকে পরিবারের ছোট্ট সদস্যটির। এ ধরনের ছোটখাট অসুখ প্রাকৃতিকভাবেই নিরাময় করতে পারেন। এসব প্রাকৃতিক উপায়ের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে প্রয়োজনে শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে অবশ্যই।
১. মধু
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রতিদিন রাতে দুই চামচ মধু খাওয়ানোর পর রাতের বেলা তাদের কাশি অনেকটাই কমে গেছে। এর কার্যকারিতা অনেকটা সাধারণ কাশির ঔষুধের মতো। তবে এক বছরের নিচে শিশুদের মধু না দেওয়াই ভালো। কাশি উপশমে এক কাপ হালকা গরম পানিতে বা এক কাপ গরম চায়ের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করাটা সবচেয়ে ভালো। মধু বন্ধ শ্বাসনালী খুলে দেয় ও প্রদাহ কমায়। এছাড়া মধুতে বেশ খানিকটা ক্যালোরি মেলে, যা শিশুদের বাড়তি শক্তি যোগায়।
২. টকদই
টকদইয়ে ভাল কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা দেহের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল শিশুরা নিয়মিত টকদই গ্রহণ করে তারা অন্য শিশুদের তুলনায় কম অসুস্থ হয়।
৩. সবজি
বর্তমান সময়ে শিশুরা শাক সবজি খেতে চায় না। অথচ শাক সবজিতে রয়েছে carotenoids নামক উপাদান যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৪. রসুন
রসুন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো কর্মক্ষম করে তোলে বহু গুণ। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়ে।এটি শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
৫. পালংশাক
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রন।
আয়রন এমন একটি খনিজ উপাদান যা লোহিত রক্তকণিকা উত্পাদনের জন্য জরুরি তো বটেই, এটা রক্তস্বল্পতাও প্রতিরোধ করে।
পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যেও এটা জরুরি।
৬. কাজুবাদাম
পুষ্টির দিক থেকে কাজুবাদাম প্রথমদিকের খাবার। এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
বিশেজ্ঞদের মতে ওমেগা থ্রি শিশুর অভ্যান্তরীণ বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করে দেয়। বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি কাজুবাদাম খাবারের লিস্টে রাখুন।
৭. ডিম
ডিমের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিন খাবারে ডিম রাখুন। ডিমের মিনারেল, ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৮. গাজর
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে গাজর উপকারি আমরা সবাই জানি। শুধু তাই নয় শরীরের নানা ইনফেকশন দূর করতেও এটি অনেক বেশি কার্যকর।
এর বিটা কারটিন উপাদান শরীরকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে রক্ষা করে।
৯. মাশরুম
অনেক বাবা মায়েরা শিশুদের মাশরুম খাওয়াতে ভয় পান। তারা মনে করেন মাশরুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয়।
কিন্তু মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে যা শরীরের ভিতরে ইনফেকশন দূর করে এবং হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি করে।