জামাই খুন
লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়িতে জামাই খুন
শ্বশুর বাড়িতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জামাই কাজী ওমর ফারুককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে
লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়িতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জামাই কাজী ওমর ফারুককে (২৮) খুন করার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার রাতে চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব জাফরপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিহতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।নিহত ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি সাত মাস বয়সী এক ছেলের জনক। পেশায় কৃষক ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে ফারুকের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব জাফরপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ আক্তার ডলির বিয়ে হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা যেত। তিন মাস আগে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওইসময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফারুকে বাড়িতে এসে তাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
কিছুদিন পর আবার ঝগড়া হলে কাউকে কিছু না জানিয়ে ডলি বাবার বাড়ি চলে যায়। সোমবার বিকালে স্ত্রী ডলি মোবাইল ফোনে ফারুককে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে। সন্ধ্যায় তিনি ওই বাড়িতে যান। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে খুন করে একটি কক্ষে রাখে বলে স্বজনদের অভিযোগ।বাড়ির আশপাশের লোকজন বিষয়টি অনুমান করতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এসময় মেঝে থেকে একটি রক্তমাখা দা জব্দ করে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহাম্মদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি রহস্যজনক। তবে ঘটনার আলামত পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।