লকডাউন বা অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে ৬টি কাজ করতে পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে আজ থেকে ১০ দিনের ছুটি শুরু ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে।
এর আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাচা বাজার এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনসমাগম।
ভাইরাসে বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
আর গতরাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু বাংলাদেশর মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই লকডাউন বা শাটডাউন আসলে চলতে পারে কতদিন ধরে? কী হবে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে? আর এগুলো কী করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব ঠেকাতে পারবে?
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বুধবার এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, “আমরাও বুঝি যে এসব দেশ আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে যে কখন এবং কীভাবে এসব পদক্ষেপগুলো শিথিল করা যায়।”
তার সোজাসাপ্টা মন্তব্য, “এই জনসংখ্যা বিষয়ক পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকার সময়টাতে দেশগুলো কী ব্যবস্থা নেয় – তার উপর এর উত্তর নির্ভর করছে।”
“মানুষকে ঘরে থাকতে বলা এবং তাদের চলাচল বন্ধ করার অর্থ হচ্ছে সময় নেওয়া এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ কমানো,” বলেন মি. ঘেব্রেইয়েসাস।
কিন্তু তাদের (দেশগুলোর) এসব পদক্ষেপ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা কমাতে পারবে না।
এই লকডাউনের সময়টাতে ভাইরাসটিকে ‘অ্যাটাক (হামলা)’ করার জন্য তৈরি হতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু কীভাবে এই সময়টাকে কাজে লাগাবে এসব দেশ- সেটিও একটি প্রশ্ন।
আর এর জবাবও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেব্রেইয়েসাস।