রংপুর ও গাইবান্ধায় সড়কে ঝড়ে গেল ২২ প্রাণ
রংপুরে বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় বিআরটিসি বাসের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার পাগলাপীর সলেয়াশাহ্ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে বিআরটিসি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা স্পেশাল বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৫১৯৩) দিনাজপুর থেকে রাত সাড়ে ১০ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসটি নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকায় আসলে চাকা পাংচার হয়ে যায়। শনিবার মধ্যরাতে রংপুরের সদর উপজেলার পাগলাপীর সলেয়াশাহ্ এলাকায় বাসটি রাস্তার ধারে থামিয়ে চাকা মেরামত করছিল হেলপার। এ সময় পেছন থেকে বালুবোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-১৯০৪) বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে বাসে থাকা দুই নারীসহ ৬ জন যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৬ জন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পেছনের কোন সিগন্যাল লাইট জ্বলে না থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান যাত্রীরা। নিহতদের মধ্যে দিনাজপুরের উপ-শহরের গামেন্টস কর্মী নিশাত (২০) ও সাজ্জাদের (১৯) পরিচয় পাওয়া গেছে।
বাসে থাকা যাত্রী দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুন্নী (৩৫) জানান, সৈয়দপুরে বাসের চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছিল। তাই বাস অনেক আস্তে আস্তে চলছিল। সলেয়াশাহ্ এলাকায় রাস্তার ধারে বাসটি থামিয়ে মেরামত করা হচ্ছিল। অনেক যাত্রী বাসের মধ্যে ছিল। আমিসহ অনেক যাত্রী রাস্তার পাশে নেমে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখতে পাই হঠাৎ একটি ট্রাক এসে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। বাসের পেছনের দিকে কোন সিগন্যাল লাইট জ্বলে না থাকার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি কাছে গিয়ে খালি লাশ দেখতে পাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
বাসের আরেক যাত্রী শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, আমরা ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলাম। পথে বাসটি নষ্ট হয়ে যায়। আমি বাসের দোতলায় ছিলাম। হঠাৎ বাসে সজোরে কি যেন একটা ধাক্কা দেয়। আমি সিটকে শক্ত করে ধরে নিজেকে সামলে নিয়েছি। বাসটি রাস্তার ধার হতে খাদের দিকে পড়ে যেতে থাকলে বাসের জানালা দিয়ে বাহিরে চলে আসি। বের হয়ে দেখি কয়েকটি লাশ পড়ে আছে।