যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে ‘পিটিয়ে হত্যা’
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় যৌতুকের জন্য আয়েশা (২১) নামের এক গৃহবধূকে স্বামীর পরিবার পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার উপজেলার ভেটনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন শুক্রবার গৃহবধূর বাবা হরিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় আয়েশার স্বামী আমিরুল ইসলাম (৩০) ও শাশুড়ি শেফালীকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
আটক আমিরুল ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। আর তার স্ত্রী আয়েশা হরিপুর সদর ইউনিয়নের খোলড়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের মেয়ে।
আবদুল হাই জানান, তিন বছর আগে আয়েশার সঙ্গে আমিরুলের বিয়ে হয়। তখন জামাতাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। পরে আরও যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হলে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আবার ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি আমিরুল আরও যৌতুক নিয়ে আসতে চাপ প্রয়োগ করলে আয়েশা অপরাগতা প্রকাশ করে। তখন থেকে আয়েশার ওপর আমিরুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
আয়েশার বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়েকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক মারপিট করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর ২টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করে রানীশংকৈল হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে রাত ১১টার দিকে আয়েশার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল কুদ্দুছ জানান, আবদুল হাইয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।