গরুর গোস্ত
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হাজীগঞ্জে গরুর গোস্ত ৬০০ থেকে কমে ৫৫০ টাকা
হাজীগঞ্জে গরুর গোস্ত ৬০০ থেকে কমে ৫৫০ টাকা
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ঃ হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গরুর গোস্তের দাম পূর্নরায় পূর্বের দামে ফিরে এসেছে। সেই সাথে ওজনে কম এবং দাম বৃদ্ধি না করার মৌখিক অঙ্গিকার করেছে গোস্ত ব্যবসায়ীরা। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।
এর পূর্বে রমজান উপলক্ষ্যে গরুর গোস্ত (হাড় ছাড়া) ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০০ এবং হাড়সহ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি করা হয়। এমনকি ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীরা পূর্বের দামে ফিরে এসে দাম বৃদ্ধি না করা এবং ওজনে কম না দেওয়ার অঙ্গিকার করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপন্য (বিস্কুট, চানাচুর) বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দাঁড়ি-পাল্লা, বাটখারা এবং ২০ কেজি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এরপর বাজারের যানজট নিরসনে হকারমুক্ত ফুটপাত ও ফুটপাতে রাখা দোকানের মালামাল সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
এদিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও সহকারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী খেয়াঘাটের সামনে ডাকাতিয়া নদীতে ময়লা আবর্জনা দেখে জিজ্ঞাসা করলে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসফাকুল আলম চৌধুরী বলেন, পৌর মেয়রের নিদ্দের্শে সুইপাররা এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে নদী দূষণ করছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, বাসা-বাড়িতে যারা প্রাইভেট সুইপার হিসেবে কাজ করে তারা এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিথ্যা কথা বলেছে।
এ সময় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ আসফাকুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি হাজী মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।