বাড়ছে করোনা ঝুঁকি, ফেরিঘাটে মানুষের ভিড়
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরকারের নির্দেশে দোকানপাট খোলায় ঘাটে মানুষের চাপও বেড়েছে। ঢাকামুখী যাত্রীদের পাশাপাশি ঢাকা ফেরত যাত্রীদের আনাগোনা অনেক বেড়েছে।
ভিড়ের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ, ফলে যাত্রীদের মাঝে দিন দিন করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজবাড়ী : বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ঘাট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিএ মাসুম বিল্লাহ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে কয়েক দিনের চেয়ে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
বর্তমানে এ নৌরুটে বড় ৫টি ও ছোট ৩টি ফেরিতে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। রাজবাড়ীর পাংশা থেকে আসা যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, আমার মা খুব অসুস্থ তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাই করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মায়ের জন্য রক্ত দিতে যাচ্ছি। কিন্তু ফেরিঘাটে এসে দেখলাম মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না। ঘাটের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যকে এগুলো দেখতে হবে। সকালে এসে নৌ-পুলিশের কোনো সদস্যকে এখানে দেখা যায়নি।
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ দ্বার বলে পরিচিত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ২৩ মার্চ থেকে লঞ্চ ও সি- বোট চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আর সে থেকেই এ নৌ-রুটে কোনো প্রকার নৌযান চলাচল না করলেও জরুরি পরিষেবার জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করে আসছে।
ফেরিঘাটগুলোর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন, ঘাটে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে। আর ঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ফেরিগুলো কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দ্যেশে রওনা দিচ্ছে। এ সময়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর এ ঘাটে বাস বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিশসা, লেগুনা ও পিকআপ ভ্যানে করে অতিরিক্ত টাকা ভাড়া দিয়েই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে।