বাংলাদেশকে প্রথম সোনার পদক এনে দিয়েছেন ইব্রাহিম শেখ রিজওয়ান
রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনালের দুই প্রতিযোগীই বাংলাদেশের হওয়ায় এ ইভেন্টে স্বাগতিকদের সোনা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) মঙ্গলবার ফাইনালে রোমান সানাকে ৬-২ সেটে হারিয়ে সেরা হন ইব্রাহিম। অভিজ্ঞ রোমানকে হারিয়ে দারুণ খুশি ফরিদপুর থেকে উঠে আসা এই আর্চার।
“কোনো চাপ নিয়ে খেলিনি। কেননা, জানতাম রোমান ভাই আমার চেয়ে অভিজ্ঞ এবং তিনি দেশকে এর আগেও পদক এনে দিয়েছেন। তাছাড়া হারলেও আমি রৌপ্য পেতাম। তাই যে যেমন খেলুক, আমি আমারটা খেলব-এই মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলাম।” গত বছর নভেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করতে না পারার হতাশা কিছুটা হলেও ভুলতে পারছেন ইব্রাহিম। দেশের হয়ে দক্ষিণ এশিয়ান আর্চারিতে প্রথম স্বর্ণ জেতা ১৭ বছর বয়সী এই আর্চারের লক্ষ্য যুব অলিম্পিকে খেলা।
“ওইটা প্রথম আসর ছিল, তাই একটু বেশি ভয়-ভীতি ছিল। আগে তো কখনও বিদেশি খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই ভয় ছিল। ভয় পেলে তো ম্যাচ জেতা সম্ভব হয় না।” “দক্ষিণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আমিই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণ জিতলাম। এ কারণে এখন আরও বেশি ভালো লাগছে। সামনের লক্ষ্য যুব অলিম্পিকে খেলা। কেননা, সবাই যুব অলিম্পিকে খেলতে চায়।”
রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টের ফাইনালে ভারতের সুমেদ মোহোদ-হিমানী জুটিকে ৫-১ সেট পয়েন্টে হারিয়ে সেরা হন বাংলাদেশের রোমান-নাসরিন আখতার জুটি। রিকার্ভ মেয়েদের এককের ফাইনালে ভারতের হিমানির সঙ্গে পেরে ওঠেননি নাসরিন। ৬-৩ সেটে হেরে রৌপ্য পেয়েছেন বাংলাদেশের এই আর্চার। রিকার্ভে মেয়েদের দলীয় ইভেন্টে বাংলাদেশকে ৬-২ সেটে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছে ভারত।
কম্পাউন্ড মেয়েদের এককের দুই প্রতিযোগী বাংলাদেশের হওয়ায় সোনা নিশ্চিত ছিল এ বিভাগেও। সুস্মিতা বণিককে ১৪০-১৩৩ স্কোরে হারিয়ে সেরা হয়েছেন রোকসানা আখতার। কম্পাউন্ডের মিশ্র বিভাগ থেকে বাংলাদেশকে আরেকটি সোনা এনে দিয়েছেন অসীম কুমার দাস-বন্যা আক্তার জুটি। ভারতের কুন্দেরু ভেঙ্কাটাদ্রি-ইশা কেতন পাওয়ার জুটিকে ১৫৩-১৪৮ স্কোরে হারান তারা। জমজমাট লড়াইয়ের পর ভারতকে ২২৬-২২৫ হারিয়ে কম্পাউন্ড পুরুষ দলীয় ইভেন্টের সোনাও জিতে নেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে খেলেন এ কে এম মামুন-অসীম কুমার দাস-আশিকুজ্জামান অনয়।
কম্পাউন্ড পুরুষ এককের ফাইনালে ভারতের কুন্দেরু ভেঙ্কাটাদ্রিকে ১৪৪-১৪১ স্কোরে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন তারই স্বদেশি হারিশ পরশকার।