মিরপুরের আজকের উইকেটকে ব্যাটিং স্বর্গ বলা যাবে না; তবে দুই দলের ব্যাটিং যতটা ভয়ংকর মনে করাচ্ছে, অতটা খারাপও ছিল না। কতটা বাজে খেলা যায়, ব্যাটসম্যানরা যেন সে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। দুই পেরেরা ছাড়া স্বস্তিতে ব্যাট করতে দেখা যায়নি কাউকেই। লক্ষ্যটা দুই শর নিচে না হলে আজ লঙ্কানদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হতো।
১৯৮ রান করেই অবশ্য মোটামুটি পরীক্ষা নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ১১৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। একটু এদিক-ওদিক হলে উইকেটের ঘরে পাঁচ বা ছয় লেখা হতে পারত। অথচ শুধু উপুল থারাঙ্গাকে হারিয়েই ১০০ পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আগের ম্যাচের ফর্ম আজও টেনে এনেছেন কুশল। কিন্তু ২২তম ওভারে ৪৯ রানে কুশল আউট হতেই ছোটখাটো এক ঝড় বয়ে গেলে শ্রীলঙ্কার ওপর দিয়ে। ঠিক ৭ রান বিরতি দিয়ে দিয়ে কুশল মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলার বিদায়ে আরেকটা হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কার মনে।
ভাগ্যিস দিনেশ চান্ডিমাল পরিস্থিতিটা বুঝে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পেরেছিলেন। আসেলা গুনারত্নেকে নিয়ে প্রথমে চাপ সামলে নিলেন। ১৪৫ রানে গুনারত্নে ফিরলেও চান্ডিমাল হাল ছাড়েননি। ৭১ বলে অপরাজিত ৩৮ রানে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন। তবে আসল কাজটা করেছেন থিসারা পেরেরা। বোলিংয়ের জিম্বাবুয়ের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে আউট করা পেরেরা ব্যাটেও দলের ত্রাণকর্তা। ২৬ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় পেরেরার ৩৯ রানই ৩১ বল আগে জয় এনে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।