কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক

পলিথিন ও বস্তার মধ্যে কুড়িয়ে পাওয়া একদিনের নবজাতক

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে নিতে চায় ৪০ দম্পতি

পলিথিন ও বস্তার মধ্যে কুড়িয়ে পাওয়া একদিনের নবজাতক শিশুর দাবিদার ৪০ দম্পতি। কে বা কারা শিশুটিকে প্রসবের পর ফেলে রেখে গেছে তা কেউ বলতে পারছে না। পুলিশ শিশুকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের কাওলজানি গ্রামের রায়বাড়ির সামনে জঙ্গলের ভিতরে পলিথিন ও বস্তার মধ্যে শিশুকে পাওয়া গেছে। ঘটনার পর উৎসুক জনতা শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়।

 মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. সাইফুল ইসলাম জানায়, কে বা কারা নবজাতক এক দিনের এই শিশুপুত্রকে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়। আজ বুধবার সকালে তিনি ও হুমায়ুন কবীর নামে দুই ব্যক্তি সকালে হাটতে গিয়ে জঙ্গলের ভিতরে শিশুর কান্না এবং পাশে একটি কুকুর দেখতে পান। ভাগ্যক্রমে শিশুটিকে কুকুরে খেয়ে ফেলেনি। তারা জঙ্গলে এগিয়ে গিয়ে পলিথিন ও বস্তায় মোড়ানো নবজাতক একদিনের শিশুকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। অনেকেই শিশুকে লালন-পালন করার জন্য তাদের কাছে দাবি জানায়। কিন্ত আইনি জটিলতার কারণে তারা বিষয়টি মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসে। মির্জাপুর থানার ওসির নির্দেশে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে আইসিইউতে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 শিশুটিকে নিতে চায় ৪০ দম্পতি
এদিকে এই ঘটনাটি মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে নিঃসন্তান দম্পতি ও বিভিন্ন উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এসে শিশুকে লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। এখন পর্যন্ত মির্জাপুর থানায় অন্ততপক্ষে ৪০ দম্পতি শিশুকে নেওয়ার জন্য ভিড় করেছেন। মির্জাপুর থানায় শিশুকে নেওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ, ময়নাল হক, জয়নব বেগম ও রুবি বেগমসহ ৪০ দম্পতি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এএসআই মো. জোনাব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় একদিনের ঐ শিশুপুত্রকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক মিজান বলেন, ফুটফুটে এই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। শিশুকে লালন পালনের জন্য অনেকেই এগিয়ে আসায় আইনি জটিলতার কারণে কাউকে দেওয়া যাচ্ছে না। কোর্টে পাঠানো হবে। কোর্ট যাকে লালন পালনের দায়িত্ব দেবেন তাকেই তারা শিশুটিকে দিয়ে দিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *