কে এই নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় তিনি বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেবেন । সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী এবং মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান। তার জন্মস্থান কুমিল্লা। তিনি বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ করেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বর্তমানে আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার চাকরির বয়স আছে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৯৯৯ সালে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। দু’বছর পর পান স্থায়ী নিয়োগ। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন আপিল বিভাগে।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। আর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর পর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দুইবার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য করা সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতির মধ্যে মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ । জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় তার পরেই ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এর আগে দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করেন। প্রধান বিচারপতি হিশেবে তার দায়িত্ব পালনের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কিন্তু সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গত ৯ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে কানাডা যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত ১০ নভেম্বর সে পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে এসে পৌঁছায়। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অবর্তমানে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।