তিনদিন ধরে স্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা , করোনা পরিস্থিতির উন্নতি
যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার পর্যন্ত ৩ দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোন প্রবাসীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায়নি। এর ফলে কমিউনিটিতে স্বস্তির ভাব ফিরে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ তিনদিনই নিউইয়র্কসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর হার আশাব্যঞ্জকভাবে কমেছে। বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ২৫ জন কম মারা গেছেন। এ সংখ্যা ১৩২। গত ২২ মার্চের পর এটি হচ্ছে সবচেয়ে কমসংখ্যক মৃত্যু।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে লকডাউনের মেয়াদ ১৩দিন বাড়িয়ে ২৮ মে পর্যন্ত করেছেন স্টেট গভর্নর। ১৫ মে ছিল পূর্বে জারি করা লকডাউনের শেষ দিন। এদিন নিউইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড, বাফেলে, ওয়েস্টচেস্টারসহ বেশ কটি এলাকা বাদে এই স্টেটের ৫টি অঞ্চল (সিরোক্যুজ, রচেস্টার, সেন্ট্রাল নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া স্টেটের সীমান্ত সংলগ্ন সাউদার্ন টায়ার, মহোক ভ্যালি, ওয়েস্ট আলবেনী এবং আরিনডেক মাউন্টেইনসহ নর্থ কান্ট্রি) এর লকডাউন শিথিলের নির্দেশ জারি করেছেন স্টেট গভর্নর।
মাস্ক পরে ৬ ফুট অন্তর অবস্থানের রীতি সমুন্নত রেখে নির্মাণ কাজ, রাস্তার পার্শ্ববর্তী দোকান চালু করা যাবে। ১৬ মে থেকে আগামী ১৪ দিন এসব এলাকার ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ থাকবে। যদি সংক্রমণ বাড়ে তাহলে পুনরায় লকডাউনে যাবে সেসব এলাকা।
এদিকে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো শুক্রবারের প্রেস ক্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন, আক্রান্তের হার কমেছে, মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে। আইসিউইতে যাবার সংখ্যা অনেক কমেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও প্রতিদিনই কমছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুনের ১৩ তারিখের পর লকডাউনের নির্দেশ কিছুটা শিথিলের পথ সুগম হবে।