পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো
ঢাবির ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো অন্য হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা
বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করলো অন্য হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) একটি হল শাখার ছাত্রলীগ কর্মীকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করলো অন্য হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। মারধরে অন্তত ৯ জন ছাত্রলীগ কর্মী অংশ নেয়। অভিযোগ, এ সময় ভুক্তভোগীকে রড দিয়ে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের (ভিসি চত্বর) কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী যুবায়ের। তিনি স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের অনুসারী।
যুবায়েরকে মারধরে অভিযুক্তরা হলেন- বিজয় একাত্তর হলের প্রথম বর্ষের সাদিক, সিফাত, পারভেজসহ অন্তত ৯ জন। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে যুবায়ের ও তার বন্ধুরা ভিসি চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তারা (বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কর্মী) এসে যুবায়েরকে একা ডেকে কথা বলে। তখন তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী যুবায়েরকে রড, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে তার (যুবায়ের) বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে ঢামেকে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম জানান, বিজয় একাত্তর হলের প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পূর্বের একটা ঝামেলা ছিল। তাকে কেন্দ্র করে যুবায়েরকে সন্দেহবশত ডেকে নিয়ে রড দিয়ে মারধর করে তারা। মারধরকারীরা ফকির রাসেলের অনুসারী বলে জানান রবিউল।
জানতে চাইলে ফকির আহমেদ রাসেল বলেন, তারা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি তাদের চিনি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি ঘটনার বিষয়টি দেখছি। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাসেলের ছেলেরা একাত্তর হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করে তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল, মানিব্যাগ হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থাকা ৪র্থ বর্ষের কিছু নেতাকর্মী এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।