বাবা থাকে ঝুপড়ি ঘরে
ছেলে থাকে টিনের ঘরে, বাবা থাকে ঝুপড়ি ঘরে
বাবার স্থান হয়েছে বাঁশবাগানের নিচে মাচার উপর ঝুপড়ি ঘরে
বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া এক বাবার স্থান হয়েছে বাঁশবাগানের নিচে মাচার উপর ঝুপড়ি ঘরে। আর বৃদ্ধ ওই পিতাকে ঝুপড়ি ঘরে রেখে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একমাত্র ছেলেটি থাকছে টিনের ঘরে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের রাজীবপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বাবা গাঠি মোহাম্মদের চোখের পানিও দয়ার উদ্রেক করে না ছেলে মহির উদ্দিনের মনে।
স্থানীয়রা জানায়, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে মহির উদ্দিনের কাছে থাকতো ৯০ বছরের বৃদ্ধ। ৬ মাস আগে বাড়ির পাশে বাঁশের মাচায় পলিথিন আর প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে তৈরি ঝুপড়ি ঘরে থাকতে বাধ্য করা তাকে। সেই ঝুপড়ির পাশে টিনের ঘরে বৌ নিয়ে আরাম-আয়েশে দিন কাটছে ছেলের।
গত ৮ মে মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষিবিদ আব্দুল খালেক সরকার দেখতে গেলে গাঠি মোহাম্মদ বলেন, মৃত্যু যেন আমাকে ভুলে গেছে। তা না হলে এই বয়সেও আমার মৃত্যু হয় না। ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এতে কষ্টের চেয়ে লজ্জাটাই বেশি। আমি এখন জেলখানায় আছি… কথা বলতে বলতে তিনি কেঁদে ফেলেন তিনি।
আব্দুল খালেক সরকার জানান, গাঠি মোহাম্মদের করুণ অবস্থা এবং তার আকুতি আমাকে আবেগ তাড়িত করেছে। সন্তানদের কথা ভেবে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। আজ সেই সন্তানদের বিরুদ্ধে নতুন করে সামাজিক যুদ্ধ করতে হবে। এই ঘটনাটি আমাকে লজ্জা দিয়েছে। আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। কী চেয়েছিলাম আর কী পেলাম!