ছাই দিয়ে রাস্তা নির্মাণ মাটির বদলে
বগুড়ার শেরপুরের খন্দকার টোলায় টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজে মাটির বদলে বিভিন্ন মিল-চাতালের ছাই ব্যবহার
বগুড়ার শেরপুরের খন্দকার টোলায় টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজে মাটির বদলে বিভিন্ন মিল-চাতালের ছাই ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা একটি মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের পশ্চিম পাশে জনৈক আনোয়ারের বাড়ি থেকে জুয়েল খানের বাড়ি পর্যন্ত উপজেলার টিআর প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় দুইমাস পূর্বে ২০০ মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন। প্রকল্প সভাপতি লিটন অনিয়ম ও দুর্নীতি করাসহ বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করার মানষে ওই রাস্তা নির্মাণে দু’ধারে প্যালাসাইড করে মাটি-বালির বদলে ব্যবহার করছে বিভিন্ন চাতাল-মিলের পরিত্যক্ত ছাই। এ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে কাজ শেষ করার আগেই সমাপ্ত দেখিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকল্প বরাদ্দকৃত অর্থ দুই কিস্তিতে উত্তোলন করে নেয়।
নতুন রাস্তাটিতে এহেন অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে প্রত্যক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি মাহমুদুল হাসান লিটন তড়িঘড়ি করে রাস্তায় ফেলানো ছাইয়ের স্তুপ সরিয়ে ফেলেন।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন বলেন, সরকারি নিয়মমাফিক ওই প্রকল্পের কাজ করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার শিউলী বলেন, ওই কাজে অনিয়ম হচ্ছে জেনেছি, তবে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যদি অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।