fbpx

ছন্দে ফিরলো রিয়াল ……

বার্নাব্যুতে জয়ের স্বাদ কেমন, সেটা বোধ হয় ভুলেই যেতে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ দুই লিগ ম্যাচে হার তো আছেই, কোপা দেল রেতেও ড্র করেছিল দ্বিতীয় বিভাগের দল নিউম্যান্সিয়ার সঙ্গে। ডিসেম্বরের শুরুতে সেভিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়াকে মনে হচ্ছিল ‘গত জন্মে’র স্মৃতি। ম্যাচের ২৩ মিনিটে তো বার্নাব্যুতে টানা তিন ম্যাচ হারার ভয়ও জেগেছিল। রিয়ালের তাসের ঘর সদৃশ রক্ষণ যখন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল হালকা চাপেই।

আন্দোনের হালকা ছোঁয়ায় মাটিতে পড়ে গেলেন কারভাহাল। সে ফাঁকে বল চলে গেল লুকাস পেরেজের কাছে। ভারানে ও কাসেমিরো-দুজনে মিলেও আটকাতে পারলেন না পেরেজকে। তাঁর ক্রস কেইলর নাভাস ও মার্সেলোকে ফাঁকি দিল। ফাঁকায় থাকা আদ্রিয়ান লোপেজের সেখান থেকে গোল করতে কোনো সমস্যা হলো না।

একটু পরেই সমতা ফেরাতে পারত রিয়াল। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড করে মনে মনে হয়তো গোল উদ্‌যাপনের কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু দেপোর্তিভো গোলরক্ষক রুবেনের অসাধারণ সেভে তা আর হলো না। এমন সুযোগ সৃষ্টি করেও বার্নাব্যু দর্শকের মন গলাতে পারেননি মার্সেলো। এবার রিয়াল যত গোল খেয়েছে তার চল্লিশ ভাগই যে মার্সেলোর দিক দিয়ে হয়েছে, সেটা যে ভোলেননি কেউ। তাই যতবারই অধিনায়কের পায়ে বল গেছে, দুয়ো শোনা যাচ্ছিল।

মার্সেলো অবশ্য খেলায় এর প্রভাব ফেলতে দেননি প্রথমার্ধে। ৩২ মিনিটে রিয়াল সমতায় ফিরল তার কল্যাণেই। বাঁ প্রান্তে টনি ক্রুসের কাছ থেকে বল বুঝে পেলেন নাচো। সে বল বক্সের মধ্যে থাকা মার্সেলো দিতেই তটস্থ দেপোর্তিভো রক্ষণ। সবাই রোনালদো, বেলকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মার্সেলো সেদিকে কোনো ক্রস পাঠালেন না! কাট ব্যাক করলেন নাচোর দিকে। অরক্ষিত নাচোর শট ঠেকানোর কোনো সুযোগ পাননি রুবেন।

৪১ মিনিটে রিয়ালের এগিয়ে যাওয়াতে মার্সেলোর ছোঁয়া দরকার হলো। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড করতে গিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু বক্সে পড়ে যাওয়ায় পেনাল্টির ব্যর্থ আবেদন করছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সে আবেদনে ব্যর্থ হয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই রিয়াল এগিয়ে গেল! বল যে পড়েছিল গ্যারেথ বেলের পায়ে। একটু জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক বাঁকানো শট। দূরের পোস্টের দুরূহ কোণ দিয়ে বল জ

এই রিয়ালকে দেখতেই তো বার্নাব্যুতে হাজির হন সমর্থকেরা। এই রিয়ালই তো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে দুমরে-মুচড়ে দেয়। এই রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখেই তো হোসে মরিনহো ছয় মাস আগে বলেছিলেন, ভাগ্যিস ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মধ্যমাঠ কারও নেই। সেই রিয়াল ফিরতে হয়তো একটু বেশিই দেরি করে ফেলল। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পাবেন সমর্থকেরা। অবশেষে চেনা রিয়ালকে তো দেখা গেল! কী করেছে রিয়াল? দেপোর্তিভো লা করুনাকে ঘরের মাঠে ৭-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। জোড়া গোল করেছেন বেল, রোনালদো ও নাচো!

বার্নাব্যুতে জয়ের স্বাদ কেমন, সেটা বোধ হয় ভুলেই যেতে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ দুই লিগ ম্যাচে হার তো আছেই, কোপা দেল রেতেও ড্র করেছিল দ্বিতীয় বিভাগের দল নিউম্যান্সিয়ার সঙ্গে। ডিসেম্বরের শুরুতে সেভিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়াকে মনে হচ্ছিল ‘গত জন্মে’র স্মৃতি। ম্যাচের ২৩ মিনিটে তো বার্নাব্যুতে টানা তিন ম্যাচ হারার ভয়ও জেগেছিল। রিয়ালের তাসের ঘর সদৃশ রক্ষণ যখন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল হালকা চাপেই।

আন্দোনের হালকা ছোঁয়ায় মাটিতে পড়ে গেলেন কারভাহাল। সে ফাঁকে বল চলে গেল লুকাস পেরেজের কাছে। ভারানে ও কাসেমিরো-দুজনে মিলেও আটকাতে পারলেন না পেরেজকে। তাঁর ক্রস কেইলর নাভাস ও মার্সেলোকে ফাঁকি দিল। ফাঁকায় থাকা আদ্রিয়ান লোপেজের সেখান থেকে গোল করতে কোনো সমস্যা হলো না।

একটু পরেই সমতা ফেরাতে পারত রিয়াল। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড করে মনে মনে হয়তো গোল উদ্‌যাপনের কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু দেপোর্তিভো গোলরক্ষক রুবেনের অসাধারণ সেভে তা আর হলো না। এমন সুযোগ সৃষ্টি করেও বার্নাব্যু দর্শকের মন গলাতে পারেননি মার্সেলো। এবার রিয়াল যত গোল খেয়েছে তার চল্লিশ ভাগই যে মার্সেলোর দিক দিয়ে হয়েছে, সেটা যে ভোলেননি কেউ। তাই যতবারই অধিনায়কের পায়ে বল গেছে, দুয়ো শোনা যাচ্ছিল।

মার্সেলো অবশ্য খেলায় এর প্রভাব ফেলতে দেননি প্রথমার্ধে। ৩২ মিনিটে রিয়াল সমতায় ফিরল তার কল্যাণেই। বাঁ প্রান্তে টনি ক্রুসের কাছ থেকে বল বুঝে পেলেন নাচো। সে বল বক্সের মধ্যে থাকা মার্সেলো দিতেই তটস্থ দেপোর্তিভো রক্ষণ। সবাই রোনালদো, বেলকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মার্সেলো সেদিকে কোনো ক্রস পাঠালেন না! কাট ব্যাক করলেন নাচোর দিকে। অরক্ষিত নাচোর শট ঠেকানোর কোনো সুযোগ পাননি রুবেন।

৪১ মিনিটে রিয়ালের এগিয়ে যাওয়াতে মার্সেলোর ছোঁয়া দরকার হলো। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড করতে গিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু বক্সে পড়ে যাওয়ায় পেনাল্টির ব্যর্থ আবেদন করছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সে আবেদনে ব্যর্থ হয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই রিয়াল এগিয়ে গেল! বল যে পড়েছিল গ্যারেথ বেলের পায়ে। একটু জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক বাঁকানো শট। দূরের পোস্টের দুরূহ কোণ দিয়ে বল জালে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটো দারুণ সুযোগ পেয়েছে রিয়াল। দুটোই বানিয়ে দিয়েছিলেন কে? হ্যাঁ, মার্সেলো! প্রথমবার রোনালদো আর দ্বিতীয়বার বোর্হা মায়োরাল পারেননি দলকে গোল এনে দিতে। তবে বার্নাব্যুকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন বেল। ৫৯ মিনিটে ক্রুসের কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে ব্যবধান বাড়ালেন ওয়েলস উইঙ্গার (৩-১)।

৬৩ মিনিটে বার্নাব্যুতে আরও একবার দুয়ো শোনা গেল। মায়োরালের বদলি হিসেবে যে বেনজেমা নামলেন মাত্র! ২৭৩ দিন পর আক্রমণের ত্রিফলা ‘বিবিসি’দেখা যাচ্ছে, এ তথ্যে যে রিয়াল সমর্থকদের কোনো মাথাব্যথা নেই, সেটা বুঝিয়ে দিলেন তারা। ৬৮ মিনিটেই ব্যবধান বাড়ল আরেকবার। বেলের পাশ থেকে রোনালদোর ব্যাকহিল দেপোর্তিভোর রক্ষণকে বিভ্রান্ত করে দিল। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মডরিচের অসাধারণ শটের সৌন্দর্য অবশ্য তাতে এক ফোঁটাও কমছে না। ৬৯ ও ৭০ মিনিটে দুটো গোল দিয়ে ম্যাচে ফিরতে পারত দেপোর্তিভো। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন আন্দোন। দ্বিতীয়বারে অবশ্য গোল লাইন থেকে বল আটকেছেন নাচো।

৭২ মিনিটে প্রায় একইরকম সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি রোনালদো। লা লিগায় গোলের জন্য রোনালদোর হাপিত্যেশ তাই বাড়ল আরও কিছুক্ষণের জন্য। পরের ৬ মিনিট রিয়ালের সব খেলোয়াড় নামলেন একটি লক্ষ্যেই, যে করেই হোক রোনালদোকে দিয়ে গোল করাতে হবে! ৭৮ মিনিটেই ফল এল। বেলের পাস থেকে কাসেমিরোর ক্রস। পা ছুঁয়ে কাজ সেরে নিলেন রোনালদো (৫-১)।

৮১ মিনিটে আরেকটি গোলের সঙ্গে বেলের নাম জড়াচ্ছিল। কিন্তু তাঁর ক্রস থেকে রোনালদোর গোল অফসাইডে বাতিল হয়। এরপরই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান আজকের সেরা খেলোয়াড়। বদলি নেমে লুকাস ভাসকেজ যেন বেলের মূর্তিতে হাজির হলেন। ৮৪ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে তাঁর ক্রসে হেড করে লিগে ষষ্ঠ গোল পেলেন রোনালদো। ডিফেন্ডারের বুট মাথায় আঘাত হানলেও বল জালে যাওয়া আটকাতে পারেনি। রোনালদোর চোখের নিচ থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তও অবশ্য রিয়ালের গোল ক্ষুধা কমাতে পারেনি।

৮৮ মিনিটে ক্রুসের ক্রস থেকে ভারানের হেড খুঁজে নিল নাচোকে। ফাঁকায় দাঁড়ানো নাচো ম্যাচে দ্বিতীয় গোল খুঁজে নিলেন কোনাকুনি শটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *