আহত মুন্নী
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যৌতুকের আগুনে পোড়া মুন্নী
যৌতুকের আগুনে পোড়া গুরুতর আহত মুন্নী
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ মেহেদী রং না শুকাতেই যৌতুকের আগুনে পোড়া গুরুতর আহত মুন্নীর (১৮) চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন চাঁদপুর-লক্ষিপুর সংসদীয় আসনের সংরক্ষিত সাংসদ এ্যাড. নুরজাহান বেগম মুক্তা এমপি। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গিয়ে মুন্নীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তাঁ মা লাইলি বেগমমে সাথে কথা বলেন। এ সময় বার্ণ ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত ছিলেন।
এর পুর্বে বুধবার (৪ এপ্রিল) মুন্নীর বিষয়টি এ্যাড. নুরজাহান বেগম মুক্তা এমপিকে অবহিত করেন দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান টুটুল ও প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্। তিনি ঘটনাটি জানা মাত্রই মুন্নীকে ঢাকা পাঠানোর কথা বলেন।
পরে ওইদিন হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া’র আর্থিক সহায়তায় এবং হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রোটা. আহসান হাবিব অরুন ও বিসমিল্লাহ হাসপাতালের সত্ত্বাধীকারী শেখ তোফায়েল আহমেদের সহযোগিতায় মুন্নীকে ঢাকা পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, যৌতুকের ১ লাখ টাকা দিতে না পারায় গত ২০ মার্চ (সোমবার) বিকেলে নববধু মুন্নীর মুখে চাপা দিয়ে জ¦লন্ত গ্যাসের চুলের উপর চেপে ধরেন তার স্বামী সোহাগ (২৫)। এতে তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। দিনমজুর পিতার পক্ষে চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনে সম্ভব না হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন মুন্নী।
মুন্নী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১০নং ওয়ার্ড মনিনাগ গ্রামের হালদার বাড়ির দিনমজুর আব্দুল লতিফের মেয়ে। তার স্বামী সোহাগ (২৫) উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ-নোয়াহাট গ্রামের ভুইয়া বাড়ির দুলালের ছেলে। তারা স্বামী-স্ত্রী হাজীগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। মুন্নীর মা লাইলি বেগম সরকার ও সামর্থবানদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন। তার মোবাইল নম্বর ০১৬৪৩-০২১৬১৪।