কেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ !
নিদাহাস ট্রফিতে বাঁচামরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ !
জয়ী দল নাম লেখাবে ফাইনালে। আঙুলের চোট কাটিয়ে ওঠা সাকিব আল হাসানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। সাকিবকে দলে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে কিন্তু সাকিবকে জায়গা করে দিতে দল থেকে বাদ পড়বেন কে?
নিদাহাস ট্রফির শেষের দিকে হঠাৎ করেই সাকিব দলে ফেরায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ দলে, স্বস্তি ফিরে পেয়েছে সমর্থকরাও। এখনও পর্যন্ত মোটামুটি বলাই যায় আজকের শুক্রবার (১৬ মার্চ) ম্যাচে খেলবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শ্রীলঙ্কান এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়েন সাকিব। কিন্তু সাকিবকে জায়গা করে দিতে দল থেকে বাদ পড়বেন কে?
নিদাহাস ট্রফির এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলার কথা ছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তবে চোট কাটিয়ে উঠতে না পারায় তাঁর বদলি হিসেবে লঙ্কায় গিয়েছিলেন লিটন দাস। স্বাভাবিক হিসেবে তাই বাদ পড়ার কথা লিটন দাসেরই। কিন্তু হাথুরুর লঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ১৯ বলে ৪৩ রান করে লিটন দলে জায়গাটা মোটামুটি পাকাই করে ফেলেছেন।
অপরদিকে সাকিব খেললে দল থেকে বাদ পড়তে পারে সৌম্য সরকার অথবা মেহেদী হাসান মিরাজের যেকোনো একজন। লঙ্কায় তিন ম্যাচেই হতাশ করেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। নিদাহাস ট্রফির তিন ম্যাচে তাঁর স্কোর ১৪, ২৪ ও ১। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে কালকের ম্যাচে সৌম্যর আউটটা ছিল কিছুটা দৃষ্টিকটু।
মূলত বোলিংয়ের জন্য দলে নেওয়া হলেও এই তিন ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি মিরাজ। প্রথম দুটি ম্যাচে তুলনামূলক কম রান দিলেও গত ১৪ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ৩ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ওভার প্রতি দশেরও বেশি। ব্যাটিংয়েও তো তেমন কিছুই করতে পারেননি মিরাজ। তাহলে কি বাদ পড়ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ?
অন্য দিকে সাকিবের ফেরায় গুঞ্জন উঠেছে আজকের ম্যাচে অধিনায়ক থাকবেন কে। সাকিব আল হাসান নাকি তার পরিবর্তে গত ৫ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দলের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, রিয়াদকে এক ম্যাচের জন্য কষ্ট দিতে চাননা টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাই এই ম্যাচেও অধিনায়কের দায়িত্বে রিয়াদই থাকবেন বলে বলা চলে। এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা আসলে কে থাকবেন লঙ্কার বিপক্ষে দলনায়কের ভূমিকায়।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে টিম-টাইগাররা। যে দল জিতবে সেই দলই খেলবে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি, নাজমুল ইসলাম অপু।
ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলার কথা ছিল সাকিবের। চোট কাটিয়ে উঠতে না পারায় তাঁর বদলি হিসেবে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন লিটন দাস। স্বাভাবিক হিসেবে তাই বাদ পড়ার কথা লিটনেরই। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ১৯ বলে ৪৩ রান করে লিটন দলে জায়গাটা মোটামুটি পাকাই করে ফেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ৩০ বলে ৩৪ রান করেছিলেন। গত ম্যাচে খারাপ করলেও তাঁকে বাদ দেওয়া হবে না—এটা ধরে নেওয়াই যায়।
সাকিব খেললে দল থেকে বাদ পড়তে পারে সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের যেকোনো একজন। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচেই হতাশ করেছেন সৌম্য। এই তিন ম্যাচে তাঁর স্কোর যথাক্রমে—১৪, ২৪ ও ১। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে কালকের ম্যাচে সৌম্যর আউটটা ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু।
তাহলে কি সাব্বির বাদ পড়বেন? সেটি করলে তাঁর প্রতি তো একটু অবিচারই করা হয়। এটা সত্য, সাব্বিরের ফর্ম আগের মতো নেই বেশ অনেক দিনই। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে ৩০ ও ২৭ রানের দুটি ইনিংস রয়েছে সাব্বিরের। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের শেষদিকে সাব্বিরের ব্যাটিং বেশি কার্যকর।
তাহলে কি বাদ পড়ছেন মিরাজ? মূলত বোলিংয়ের জন্য দলে নেওয়া হলেও এই তিন ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি। প্রথম দুটি ম্যাচে তুলনামূলক কম রান দিলেও কাল ভারতের বিপক্ষে ৩ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ওভার প্রতি দশের ওপরে। টিম ম্যানেজমেন্ট ভাবতেই পারে সাকিব ফিরলে মিরাজের কী প্রয়োজন! ব্যাটিংয়েও তো তেমন কিছুই করতে পারেননি।
জল্পনা-কল্পনা চলবেই। কিন্তু এই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর অঙ্কটা টিম ম্যানেজমেন্টই করবে। সেটার ফল জানার অপেক্ষা আপাতত করতেই হচ্ছে।