ছাত্রলীগের দুর্নীতি
কবি নজরুল সরকারি কলেজে চলছে ছাত্রলীগের দুর্নীতি
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তির সময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার একদল নেতা-কর্মী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি অতিরিক্ত ২ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা এই অভিযোগ করেছেন।
কলেজের শিক্ষকেরাও বিষয়টি জানেন। তবে ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। এর আগেও এই কলেজে বিভিন্ন ভর্তি বা ফরম পূরণের সময় একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনা চলছে।
অবশ্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে মোহন বলেন, তাঁর জানামতে কলেজের ভেতর ছাত্রলীগের কেউ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে না। বাইরে কেউ নিয়ে থাকলে এবং প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর দাবি তিনি এ ধরনের কাজ করেন না, করতেও দেন না।
একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন ও শিক্ষার্থী বাছাইয়ের পর গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার ভর্তির টাকা নিচ্ছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ। কলেজসংলগ্ন জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে যাওয়া একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, নির্ধারিত ভর্তি ফি ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকার মতো। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ডাউনলোড করে ফরম ও রসিদ নিচ্ছে। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকার পরিমাণ এসে যাচ্ছে। সেখানে বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা ব্যাংকে এই টাকা জমা দেওয়ার সময় পাশেই ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে প্রত্যেকের কাছে জনপ্রতি ২ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন। যারা এই টাকা দিচ্ছে, কেবল তারাই ভর্তির নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। যারা দিতে পারছে না তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক , তিনি গতকাল তাঁর সন্তানকে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু না জানার কারণে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাননি। তাই ফেরত এসেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি করে দিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।