খোলা আকাশের নিচে
কচুয়ার নূরপুর কারিগরি দাখিল মাদ্রাসায় পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে
ক্লাস নিতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে
মোঃ মহসিন হোসাইন, কচুয়া (চাঁদপুর) সংবাদদাতা ঃকচুয়া উপজেলার নূরপুর কারিগরি দাখিল মাদ্রাসায় শ্রেণি কক্ষের তীব্র সংকট বিরাজ করছে। এ সংকটের কারণে কোন কোন ক্লাস নিতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
২০০২ সালে এ মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালে হয় এমপিও ভুক্ত। শিক্ষক সংখ্যা ১২, এ মাদ্রাসায় রয়েছে শিশু শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪শ। একটি মাত্র দ্বিতল ভবন। ৬৫ ফুট দৈর্ঘের ও ২২ ফুট প্রস্থের এ ভবনে রয়েছে ৪টি কক্ষ। একটি কক্ষ ব্যবহার হচ্ছে অফিস কক্ষ হিসাবে। বাকী তিনটি কক্ষে পাটিশন ব্যবহার করে দু’টি করে ৬টি শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে। এছাড়া দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও প্রস্থ্য ১৫ ফুট বিশিষ্ট দুটি টিনের গৃহ আছে। ওই দু’টি টিনের গৃহের প্রতিটিতে দু’টি করে ৪টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। টিনের গৃহ দু’টির চালার টিনে মরিচা ধরে ফুটোর সৃষ্টি হয়েছে। একটুখানি বৃষ্টি হলেই জপ জপিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ক্লাশ চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দ্বিতল ভবনের শ্রেণি কক্ষ গুলো (পাটিশন করা) প্রয়োজনের তুলনায় খুবই স্বল্প। প্রতিটি শ্রেণির ১০০ ভাগ থেকে ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাশে উপস্থিত হলে গাদা-গাদি আর ঠাসাঠাসিতে বসে শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাশ করতে হয়।
৭ম ও ৮ম শ্রেণিঃ
৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে অন্যান্য শ্রেণির তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওই শ্রেণির ১শ থেকে ৯৫ ভাগ ছাত্রী উপস্থিত হলে নির্দিষ্ট কক্ষে ক্লাশ না চালিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ চালাতে হয়। তাছাড়াও সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিশু শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১১টি ক্লাশ চলে। এসময়ে শ্রেণি কক্ষের সংকটের কারণে কোন না কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কে বাধ্যতামূলক ভাবে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান দিতে হচ্ছে। শ্রেণি কক্ষের সংকট ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার, শিক্ষক মিলনায়তন, ছাত্রী মিলনায়তন ও কম্পিউটার ল্যাবের কক্ষ নেই।
এমনি অবস্থায় এ প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে টিনের নির্মিত গৃহ দুটির সংস্কার কাজ করাসহ যে দ্বিতল ভবনটি আছে অনুরূপ আরো ১টি দ্বিতল ভবন জরুরী ভিত্তিতে নির্মান করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।