৩১ ছক্কা!
এক ম্যাচে ৪৫৯ রান, ৩১ ছক্কা!
আইপিএলে এক ম্যাচে ৪৫৯ রান
দুই দল মিলে ৪৫৯ রান, ৩১ ছক্কা। কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচটা যে বোলাররা দ্রুত ভুলতে চাইবেন, বোঝাই যাচ্ছে। ব্যাটসম্যানদের এমন লড়াইয়ে ছক্কা মারায় এগিয়ে পাঞ্জাব। কিন্তু ১৬ ছক্কায় তাদের তোলা ২১৪ রান হার মেনেছে কলকাতার কাছে। পাঞ্জাবকে ৩১ রানে হারিয়ে প্লে অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল কলকাতা।
২২২, এ সংখ্যাটাই আইপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১৫৮ রানের সুবাদে এই পাহাড় গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমন জমজমাট ম্যাচ বুঝিয়ে দিয়েছিল, এ টুর্নামেন্ট থাকতেই এসেছে। কিন্তু অমন ঝড় আর কখনো তুলতে পারেনি কলকাতা। আইপিএলের এক দশকে ওটাই ছিল দলটির সর্বোচ্চ স্কোর।
আজ সে অচলায়তন থামল। ক্রিস লিন ও সুনীল নারাইন শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই পঞ্চাশ তুলে ফেলেছেন দুজন। পরের বলেই লিন (১৭ বলে ২৭) আউট হওয়ার পরও রান উৎসব থামেনি। রবিন উথাপ্পাকে এক পাশে দাঁড় করিয়ে সমানে হাঁকাতে লাগলেন নারাইন। ৯ চার ও ৪ ছক্কার ঝড় যখন থামল নারাইনের, দলের স্কোর তখন ১২৮। ৩৬ বলে ৭৫ রান করেছেন নারাইন। কলকাতার ইনিংসের তখনো ৮.৩ ওভার বাকি!
১২তম ওভারেই উথাপ্পা (১৭ বলে ২৪) ফিরে গেলেও কলকাতার খুব একটা যায় আসেনি। আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে ৩১) ও দিনেশ কার্তিক (২৩ বলে ৫০) শুধু দুই শ পার করেননি, দলকে নিয়ে গেছেন আড়াই শর দিকে। দুই শ অবশ্য ১৭তম (১৬.৩) ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম দুই শ রান করার রেকর্ড এটি। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছে কলকাতা (২৪৫/৬)। আর সব মিলিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি।
তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাবের শুরুটাও ভালো হয়েছিল। ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুল মিলে কলকাতার মতোই ঠিক ৩১ বলেই পঞ্চাশ পার করেছেন। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের পরপর দুই বলে গেইল ও আগারওয়ালের বিদায় বড় এক ধাক্কা দিয়েছে পাঞ্জাবকে (৫৭/২)। ২২ রানের এক ছোট জুটির পর বিদায় নিয়েছেন করুন নায়ার (৩)। তবু পাঞ্জাব জয়ের আশা দেখছিল। কারণ লোকেশ রাহুল ছিলেন ভয়ংকর রূপে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও কলকাতার ত্রাতা হলেন নারাইন। তাঁর এক বলে শট মিস করে বোল্ড হলেন রাহুল। ২৯ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৬ রান করেই বিদায় নিলেন রাহুল (৯৩/৪)।
রাহুলের বিদায়ের পর বাকি ১১ ওভারে ১৫৩ রান করতে হতো পাঞ্জাবকে। পাঞ্জাব ১২১ রান তুলতে পেরেছে। সেটাও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অলরাউন্ডার সত্তা জেগে ওঠায়। ২২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করা অশ্বিন ফিরেছেন শেষ ওভারে। তবে ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে ১৬তম ওভারেই। ২০ বলে ৩৪ রান করা ফিঞ্চ বিদায় নেওয়ার পর বাকি সময়টা ব্যবধান কমাতেই কাটিয়েছেন অশ্বিন।