ঈশ্বরদীতে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

ঈশ্বরদীর দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে

ঈশ্বরদীর বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সারারাত ওই দুই ছাত্রীকে গড়গড়ি উত্তরপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে সোমবার সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধর্ষকদের মধ্যে একজন গড়গড়ি উত্তরপাড়ার সিরাজুল ইসলাম মনার ছেলে রমজান আলী এবং অন্যজন একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে রনি। ওই দুই ছাত্রী আওতাপাড়ার স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই দুই ছাত্রী অভিযোগ দিতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে পাঠিয়েছে।

ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানায়, রোববার বিকেলে বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিল তারা। পথিমধ্যে একটি অটোবাইকে তাদের দু’জনের মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় রমজান ও রনি। রমজানের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে রাতভর তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় তারা। এ সময় তাদের দু’জনের মুখ বেঁধে রাখে ধর্ষকরা। তাদের মধ্যে একজনের রক্তক্ষরণ হলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে তাদের ওই ঘর থেকে বের করে বাড়ি চলে যেতে বলে।

এদিকে সারারাত ওই দুই ছাত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। সকালে তারা বাড়ি ফিরে এসে ঘটনার বর্ণনা করলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই এলাকার ইউপি মেম্বার শামসুল প্রাং জানান, দুই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এমন খবর তিনি জানতেন। সকালে তারা বাড়িতে ফিরে এলে লোমহর্ষক এই ঘটনাটি তিনি অবগত হন। এরপর তাদের নিয়ে এলাকবাসীর সঙ্গে ঈশ্বরদী থানায় এসে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, অভিযোগ তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে হবিগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, জেলার বানিয়াচং উপজেলার পাহারপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর ধরে একই গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে মদরিস মিয়ার সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রোববার রাতে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মদরিস। পরে মেয়েটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে সে পালিয়ে যায়। সোমবার খবরটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, এ ধরনের খবর এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।